অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর কলম থেকে পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। | তারিখ: ১৪-০৭-২০১০
যাঁরা দুর্ভাগ্যক্রমে প্রতিবন্ধী, তাঁদের আপন করে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের মতো তাঁদের ইচ্ছে হয় লেখাপড়া করার, অফিস-আদালতে কাজ করার, আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার। তাঁদের মধ্যে যে শক্তি আছে, এর পূর্ণ ব্যবহার করার অধিকার তাঁরা চান। এ তো খুব সংগত কথা। আমরা যদি একটু তাঁদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তাঁরা নিজেদের শক্তিতেই উঠে দাঁড়াবেন। সমবেদনা নয়, সহমর্মিতা তাঁদের প্রয়োজন। যাঁরা আমাদের মতো মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারেন না, হুইল চেয়ারে বসে চলেন, তাঁদের অনেকে তুখোড় মানুষ। শহরে-নগরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবনে প্রবেশের জন্য তাঁদের র্যাম্প; আর হুইল চেয়ার যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রয়োজন একটি বিশেষ টয়লেট। অথচ এ কাজটি করতে আমাদের খুব যে অর্থ ব্যয় হবে, তা নয়। একটু সদিচ্ছা চাই। তাহলে তাঁদের একটি বড় উপকার করা হয়। এমনই একজন সে দিন গিয়েছিলেন দৃক গ্যালারিতে। অথচ এক্সিবিশনটি তাঁর দেখা হলো না। গ্যালারি তিনতলায়। নিচতলা পুরোটায় অফিস, নেই কোনো লিফট। তিনি কর্তাদের হয়তো তাঁদের জন্য টয়লেটের সুবিধার কথাও বলেছেন। কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন, পরবর্তী সময় দৃক গ্যালারি প্রতিবন্ধীবান্ধব হবে হয়তো। আরেক দিন এলেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে। ওখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে ব্যাপারটা তুলতেই তাঁরা বুঝলেন, হুইল চেয়ার যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা রাখা দরকার। এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে উঠছে এ দেশে। অনেকেই ব্যাপারটা জানেন না, গুরুত্বও অনুধাবন করেন না। বি-স্ক্যান নামে একটি সংগঠন এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এগিয়ে এসেছে। আশাব্যঞ্জক সাড়াও পাওয়া গেছে। সেবামূলক, বিনোদন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে র্যাম্প ও বিশেষ টয়লেট থাকা উচিত, এ বিষয়টি বোঝা শুরু হয়েছে। আশা করি, সবাই সাড়াও দেবেন এ ব্যাপারে। ব্রিটিশ কাউন্সিলে কেবল একটি র্যাম্প আছে, কিন্তু টয়লেট নেই। তবে ফুলার রোডে তাদের প্রধান কার্যালয়ে এ ব্যবস্থা আছে। বি-স্ক্যানের সালমা, সঙ্গে প্লাবন ও অপু সফর করে জানালেন এসব কথা।
প্রথম আলো- অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, ১৪ জুলাই ২০১০। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-14/news/78413
আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে কিছুদিন আগে আমরা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দুইজন প্রতিবন্ধী বোনকেহুইলচেয়ার প্রদানকরেছিলাম,এবারতাদের বাবা ওয়াজেদ মিয়ার জন্য ৩০০০০ টাকাসংগ্রহ করেদিয়েছি, উদ্দেশ্যতার সংসারটি যেন ঠিক মত চলে এবং যে অদম্য উৎসাহ নিয়েমেয়ে দু’টি লেখাপড়া করছে তা যেন বন্ধ হয়ে না যায়।
আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ‘আমারব্লগ’ এর সম্মানিত কিছু ব্লগার ও বি-স্ক্যান সদস্যদের সহায়তায় এইটাকাগুলো সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছি। টাকার পরিমান যেহেতু অনেক তাই আমরা একটিমনিটরিং/ তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছি। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ওঘোড়াঘাটের সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে এই কাজটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা থাকলে একদিকে ওয়াজেদ মিয়া যেমন টাকাগুলোর যথেচ্ছব্যবহার করতে পারবেন না তেমনি অন্যদিকে তিনি যদি ঠিক মত টাকাগুলো কাজেলাগান তাহলে পরবর্তীতে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ঋণ পেতে সুবিধা হবে এবং মেয়েদুটির পড়াশোনা চালিয়ে নিতে সহযোগিতা পাবেন বলে আমরা মনে করছি।
গত শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০ বি-স্ক্যানের পক্ষথেকে টাকাগুলো দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মেয়ে দুটির বাবা ওয়াজেদমিয়ার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে ফারজানা সুলতানা এবংঅরন্য আনাম গিয়েছিলেন সেখানে জেলা প্রশাসকের অফিসে কাজটি সম্পাদনের জন্য।সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মিসেস, আলেয়া বেগম এবং দিনাজপুরপ্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট জনাব, মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাঁ'দিক থেকে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোখলেসুররহমান, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, জামালউদ্দিন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি - বাংলাদেশ এর সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দাফারজানা সুলতানা,এবং ডেপুটি ডাইরেক্টর, সমাজসেবা অধিদপ্তর মিসেস, আলেয়াবেগম।
আপনারা অনেকেই জানেন বি-স্ক্যান এর নিজস্ব কোন ফান্ডনেই, বিভিন্নভাবে সংগৃহিত এই টাকাগুলো আশা করছি ওয়াজেদ মিয়া তারস্বদব্যবহার করবেন। তিনি স্বনির্ভর হলে মেয়ে দুটো নির্বিঘ্নে লেখাপড়াচালিয়ে যেতে পারবে। আমরা তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
নিচে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম ও টাকার পরিমান জানিয়ে দেয়া হলো। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ জায়গাই হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের উপযোগী নয়। শিক্ষাংগন থেকে শুরু করে বিনোদন কেন্দ্র, বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্টান কোথাও র্যাম্পের ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। সিঁড়িগুলো তাদের জন্য বিরাট বাঁধা। সেই সাথে আরো বড় একটি সমস্যা হলো টয়লেট। ঘরের বাইরে তাদের টয়লেটে যাবার কোন উপায় নেই বললেই চলে। তাই দূরের যাত্রা বা বাইরের দীর্ঘক্ষণের কোন কাজ বা বিনোদন থেকে তারা থাকেন বিরত বা বঞ্চিত। বি-স্ক্যানের চারটি মুল লক্ষ্যের একটি সর্ব ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা তৈরী। সেই লক্ষ্যে আমরা যে কাজটি শুরু করতে চাইছি তাহলো প্রতিটি পাব্লিক বিল্ডিংগুলোর সম্মুখে ভিতরে প্রবেশ করতে বা লিফট পর্যন্ত যেতে যে দু’চারটি করে সিঁড়ি আছে তার পাশাপাশি একটি করে র্যাম্প থাকবে ও সেই বিল্ডিং এ একটি হুইলচেয়ার এক্সেসিবেল টয়লেট থাকবে যেখানে একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী সহজে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও ঢাকা মহানগরী ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী প্রতিটি ইমারতে হুইলচেয়ার প্রবেশগম্যতা ও (accessible) টয়লেট থাকা আবশ্যকীয় করা হয়েছে (পৃষ্ঠা ৩০০৫ এ সার্বজনীন গম্যতার নকসা এবঙ ৩০৬১তে প্রতিবন্ধীদের জন্য সার্বজনীন গম্যতা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে)। সমাজে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোন পরিবর্তন আনতে গেলে সচেতনতা তৈরী করা দরকার। সেই উদ্দেশ্যে আমরা এমন কিছু জায়গাকে প্রবেশগম্য করতে চাই যা অনেক বেশী জনসচেতনতা তৈরী করবে এবং বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবেন এই কাজে। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। সেই অনুযায়ী মার্কেট, সিনেমাহল, যাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশগম্যতা (accessibility) তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি।
র্যাম্প- এমন একটি ঢালু পথ যা দিয়ে হুইলচেয়ার নিয়ে সহজে উঠা নামা করা যায়। এটা সিঁড়ির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এইটি স্থায়ী (সিমেন্ট কিংবা কাঠের) এবং অস্থায়ী ( কাঠ, স্টিল ইত্যাদির) দুই ধরণেরই হয়ে থাকে। র্যাম্প হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ছাড়াও ক্রাচ ও ওয়াকার ব্যবহারকারী, বয়োবৃদ্ধ, প্রসুতি নারী, দৃষ্ট প্রতিবন্ধী মানুষের জন্যও উপযোগী।
আমাদের দেশের পাব্লিক বিল্ডিংগুলোতে যেহেতু র্যাম্পের কোন ব্যবস্থা রাখা হয় নি তাই সেই বিল্ডিংগুলোতে র্যাম্প বসাতে গেলে সিঁড়ির উচ্চতা অনুযায়ী র্যাম্পের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হবে। সেটা কোথাও ৫ ফিট কোথাও বা ১০ ফিট র্যাম্পেরও প্রয়োজন পড়তে পারে। সেই অনুযায়ী খরচও কম বেশী হবে।
র্যাম্প এর জন্য আদর্শ মাপ-
·সার্বজনীন গম্যতার বিধান অনুযায়ী ১ইঞ্চি উচ্চতার জন্য র্যাম্প এর মাপ ১.৬ ফুট থেকে ২.০০ ফুট হয়ে থাকে (তবে স্বল্প উচ্চতার ক্ষেত্রে এর দৈর্ঘ্য অনেক কমও হতে পারে)।
·র্যাম্প সর্বোনিম্ন ৩৬ ইঞ্চি চওড়া হতে হবে।
·র্যাম্পের দু’পাশে নিরাপত্তা দেয়াল কিংবা রেলিং থাকতে হবে ইত্যাদি।
হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য টয়লেট-
একটি হুইলচেয়ার নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করতে গেলে সবচেয়ে প্রথম যে বাঁধাটির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো দরজার অপ্রশস্ততা।বাথরুমের দরজা হুইলচেয়ার ঢোকার জন্য যে পরিমাণ চওড়া থাকা প্রয়োজন তা নেই। যে সমস্ত জায়গায় নতুন টয়লেট বানানোর সুযোগ নেই সেখানে যে টয়লেট আছে তাকে হুইলচেয়ার ব্যবহারের উপযোগী করতে যা প্রয়োজন পড়বে-
* বাথরুমের দরজার প্রশস্ততা হুইলচেয়ার ঢোকার জন্য কমপক্ষে ৩০ইঞ্চি উন্মুক্ত থাকা প্রয়োজন।
*টয়লেটের ভিতর নিয়ম অনুযায়ী কিছু বাধামুক্ত জায়গা থাকা প্রয়োজন হুইলচেয়ারটি ঘুরানোর জন্য। টয়লেটে ঢোকার পর সব চেয়ে বড় সমস্যা যেটি হবে তা হলো দরজাটি ভিতর থেকে লাগানো। সেক্ষেত্রে দরজাটি যেন বাইরের দিকে খুলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
* হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নিজেকে কমোডের উপর তোলার জন্য হাই কমোডের দু পাশে একটি করে হ্যান্ডরেইল (গ্র্যাব বার) থাকা দরকার যার সাহায্য নিয়ে তিনি নিজে এই কাজটি করতে পারবেন।
টয়লেট প্রবেশগম্য করতে যে খরচ হবে তা এক এক বিল্ডিং-এ এক এক রকম হতে পারে। তবে আগের দরজাটি পালটে সেখানে একটি নতুন দরজার লাগাতে হলে সবচেয়ে খরচ একটু বাড়তে পারে। তাছাড়া এর ভিতরে কিছু ছোটখাট পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন: হ্যান্ডরেইল লাগানো, দরজায় অতিরিক্ত হাতল লাগানো ইত্যাদি। কোন কোন টয়লেটে হয়তো দরজা প্রশস্ত থাকতেও পারে কিন্তু ভিতরে যথেষ্ট জায়গা নেই, সেক্ষেত্রে শুধু দরজাটি বাইরের দিকে খোলার ব্যবস্থা করলেই হয়ে যাবে, খরচও এখানে কম পড়বে ইত্যাদি।
সবশেষে যা বলতে চাই তা হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন ও প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখবে আপনাদের সকলের সহযোগিতায়।
ধন্যবাদ।
সালমা মাহবুব
ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীতIn English Increasing Wheelchair Accessibility in Different Important Buildings
Majority of the places in
Bangladesh, including parks and buildings are not accessible by wheelchair users.Ramps are not constructed in
educational institutions, offices, recreational and welfare centers.The
unfriendly stairs are big obstacles for them. Facilities in toilet is another
challenge. Toilet facility outside home is almost non-existent for
them. Therefore they are deprived of long journey and outdoor recreations. They
can not undertake time consuming tasks outside home.One of the 4 priority areas of B-SCAN is to create access to every where in
the community.With this goal in mind, we want
to create ramp for wheelchair users in all the public buildings; so that
they can easily reach the lift or stairs. There should be at one disabled friendly
toilet in each building that can be easily used.According to National Building Code and Dhaka city building-construction
guideline 2008, it ismandatory to offer wheelchair
access to all those buildings and also to guarantee theprovision of
wheelchair accessible-toilet ( page 3005 contains Universal Access plan
and also Universal Access law on page 3069).
Keeping these provisions
in mind, we would like to make few places easily accessible by wheelchair
users, so that public-awareness is increased and that may encourage large
organizations to come forward in these projects.
One day all the places
in Bangladesh will be open and accessible to users of 'wheelchair'. Therefore,
we passionately think that entry to markets, movie theatres, museums,
universities are very crucial.
RAMP: A sloping path that can be easily used to move
a wheelchair. It is used as a substitute to stairs. It can be both permanent (made
with concrete or timber ) or temporary ( made of Steel / timber ). Other than
wheelchair users, ramp is also useful for people with crutch and walker,
elderly citizens, pregnant women, sick person and blind people.
Appropriate size of a ramp:
* According to international code of
'universal access', for 1 inch height , the height of a ideal ramp will be 1.6
feet to 2.00 feet ( but height can be less depending on the height ).
* Ramp should be minimum 36 inches
wide.
* There should be railing or
safety-wall on both sides of the ramp etc.
Wheelchair Accessible Toilets
The first obstacle that we might
face while entering into a toilet with a wheelchair is the inadequate width of
the door. Those doors in public toilets are not wide enough. Places where new
toilet may not be built existing toilet can be modified so that wheelchair users can use them.
That will require:
* Doors must be at least 30"
wide.
* There should be some spaces
inside the toilet to maneuver the wheelchair as required. It will be very hard task to lock the toilet door.
Therefore door should be opened towards the outside.
* There should be hand-rails on each
side of the commode, so that the person can shift him / herself properly.
Expense for these modifications will
vary building to building according to the size and shape of the toilets. It may be a bit more
costly to replace existing doors. Some toilets may have wide door but very little place to maneuver the wheelchair in that case if existing door opens towards outside it may work. We might need to change some minor stuffs, like
installing hand-rails and extra door-handle etc to make it accessible.In that case it will not cost that much.
To conclude, I would like to add
that we will get our dreams full filled with your assistance and co-operation.
দেশের ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ কথা বলতে পারে না বা তারা ভাষাগত সমস্যায় আক্রান্ত। চিকিৎসা দিয়ে তাদের অনেককে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তবে দেশের অনেকেই এ চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না বা সচেতন নন। গতকাল পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনকেন্দ্র (সিআরপি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল বাকপ্রতিবন্ধিতা চিকিৎসায় দেশে কী ধরনের সেবা আছে, তা জানানো এবং এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও চিকিৎসক অংশ নেন। সিআরপির মিরপুর কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজকেরা বলেন, সেরিব্রাল পালসি, অটিজম, কানে কম শোনা, স্ট্রোক করা, ঠোঁট ও তালুকাটা, মানসিক সমস্যা, মাথায় আঘাত পাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় স্পিচ ও লেংগুয়েজ থেরাপি বা বাকচিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে সিআরপির স্পিচ অ্যান্ড লেংগুয়েজ থেরাপি বিভাগের প্রতিনিধিরা সিআরপির এ সেবা নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা জানান, সিআরপি দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেখানে এ বিষয়টিতে ২০০৫ সাল থেকে এক বছরের শিক্ষানবিশ কর্মসূচিসহ চার বছরের অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রওনাক হাফিজ বলেন, মাঠপর্যায়ে এ সেবাকে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। অপারেশন ক্লেফট অস্ট্রেলিয়ার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডালিয়া দাস বলেন, চিকিৎসকদেরও এ সেবা বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সিআরপির নির্বাহী পরিচালক এমদাদ মোসলেম বলেন, দেশের জনগণ এখনো জানেই না যে এ সেবা নিতে হয় বা কোথায় এ সেবা পাওয়া যায়।
একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবার হঠাৎ করেই একটা সুযোগ চলে এলো । সেখানে পৌঁছার আগ পর্যন্ত অবশ্য জানা ছিল না আমাকেও কিছু বলতে হবে সেই অনুষ্ঠানে। আমি তো প্রথমে একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলাম, পরে আস্তে আস্তে নিজেকে তৈরী করে নিলাম। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কাহিনী নিয়ে সরকারি অনুদানে চলচিত্র নির্মিত হচ্ছে। ছবির নাম ‘কাজলের দিনরাত্রি’সেই উপলক্ষ্যে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে এই আয়োজন। অভিনয় করছেন আফজাল ও রোকেয়া প্রাচী এবং শিশু শিল্পীরা। মুলত এটি ছোটদের চলচিত্র। পরিচালক সজল খালেদকে ফেসবুকের মাধ্যমে আগে থেকেই চিনতাম। তিনি বি-স্ক্যানের কাজের ব্যপারে সবসময় আগ্রহী প্রকাশ করে এসেছেন। তাঁর আমন্ত্রণেই সেখানে যাওয়া।
এই ছবিটির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ সম্পর্কে কোন একটি ম্যাসেজ তিনি শিশু কিশোরদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আমরা সেইভাবে তাঁকে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি। যার ফলশ্রুতিতে তিনি আমাকে এই সংবাদ সম্মেলনে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করেন।
আমি বি-স্ক্যানের পক্ষ থেকে মিডিয়াকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই। কারণ মানুষের দৃষ্টভঙ্গী না পাল্টালে প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার কোনদিন প্রতিষ্ঠা পাবে না। মিডিয়াই পারে এই বিপুল জনগোষ্টীর ধারণা পাল্টাতে সহযোগিতা করতে। আমি বললাম, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিও দোতলায়, কোন লিফটের ব্যবস্থা নেই, আমাকে তিন/চারজন মিলে উপরে তুলেছেন। দোতলায় শুনে প্রথমে আমি সেখানে যেতে চাইনি পরে ভেবেছি আমি যেই কাজে নেমেছি তাতে মানুষকে জানানো দরকার আমরাও আছি এই সমাজে, আমাদের কথাও তাঁদের ভাবতে হবে। তারা আমাদেরকে কম দেখেন বলেই হয়তো আমাদের প্রয়োজনটা কম বুঝেন বা বুঝতেই চান না। তাই আমাদের ঘর থেকে বের হয়ে আসা দরকার তাহলে হয়তো আমাদের প্রয়োজনগুলো নিয়ে মানুষ ভাববে। অনুষ্ঠান শেষে জাফর ইকবাল স্যার আমাকে বললেন হতাশ না হতে, ধীরে ধীরে সব হবে। পরিবর্তন হচ্ছে, আরো হবে। রোকেয়া প্রাচী বলেন তার একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট পাঠাবেন আমাকে যেখানে হয়তো আমরা কোন ম্যাসেজ দিতে পারবো এই অবহেলিত মানুষগুলো সম্পর্কে।
চোখে দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে বেরিয়ে আসি সেই অনুষ্ঠান থেকে।