আকমল হোসেনের বাঁ চোখের অপারেশেন

 আকমল হোসেনের ডান চোখের অপারেশেন হয়ে গিয়েছে (২৭ জানুয়ারি, ২০১১) এবং তিনি ভাল দেখতে পাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তাঁর বাম চোখে অপারেশেন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি তাঁর এই চোখটিও ঠিক হয়ে যাবে। এখানে বলা দরকার যে আকমল হোসেন তিন ফিট দূরের জিনিসও ঠিক মত দেখতে পেতেন না। ছোট্ট একটি অপারেশেনের প্রয়োজন ছিল দুই বছর আগেই কিন্তু টাকার অভাবে তা করা সম্ভব হয় নি। আকমল হোসেনের ঘরে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুও রয়েছে।




আকমল হোসেন সুস্থ হয়ে উঠুন এখন সেটাই আমাদের কাম্য। 

বি-স্ক্যান এর সচেতনতা মূলক টি-শার্ট

মানুষকে যে কোন বিষয়ে সচেতনত করতে বা কোন বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিতে অনেক রকম উপায় বেছে নিতে হয়। তেমনই একটি উপায় হচ্ছে টি-শার্ট। বর্তমানে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সের মানুষই টি-শার্ট পরিধান করেন। আর সচেতনতা মূলক বার্তা বাহক কোন টি-শার্ট দৃষ্টি নন্দন হলে, সেটা পরিধানে কারোর কোন বাঁধা থাকতে পারে না।



ঠিক তেমনি, বি-স্ক্যান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আদায় এবং এই সম্পর্কে সর্বসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে স্টিকার-লিফলেট এর পাশাপাশি সম্প্রতি সুদৃশ্য টি-শার্ট তৈরি করেছে। আর এই টি-শার্টটি জনপ্রিয় লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ও তাঁর সহধর্মিণী ড. ইয়াসমিন অবমুক্ত করেন।





এই টি-শার্টগুলোর প্রতিটির শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। টি-শার্ট বানানোর খরচ ছাড়া বাকি অর্থ দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণ কর্মে ব্যয় করা হবে। যে কেউ চাইলে টি-শার্টগুলো  কিনতে পারেন। তবে, এই টি-শার্ট এর অনুলিপি তৈরি করা যাবে না। এছাড়া, ঢাকার বাইরের কেউ যদি এই টি-শার্ট কিনতে চান, তাদেরকে অবশ্যই ২টি টি-শার্ট এর অর্ডার দিতে হবে এবং এর সাথে ৮০ টাকা পার্সেল খরচ যুক্ত হবে। পুরো টাকাটি অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে এস.এ. পরিবহন বা ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিঃ এর মাধ্যমে।

যোগাযোগ করুণঃ
কোষাধক্ষ্য অরণ্য আনাম - ০১৬৭১৫৮২২৬৯
ই-মেইল: info@b-scan.org

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণসচেতনতা বিষয়ক বি-স্ক্যান সেমিনার

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যাপারে সমাজে নেতিবাচক ভাবনা বদলে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণসচেতনতা শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসী নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান)। ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১১, শনিবার ফ্রেপড মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ।





আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি - বাংলাদেশ এর ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বি-স্ক্যান এর যুগ্ন ম্পাদক সৈয়দা ফারজানা সুলতানা তাঁর চমৎকার উপস্থাপনায় প্রথমেই প্রবেশগম্যতাপ্রতিব্ন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে দুটি প্রেজেন্টেশেন করেন।




সেমিনারে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তাহলো পৃথিবীর অনেক দেশে জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ অনুযায়ী আইন তৈরী হচ্ছে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সর্বক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও বিল্ডিং কোডে উল্লেখ থাকলেও এ ব্যাপারটি তেমনভাবে মানা হচ্ছে না। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কেট,পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র কোথাও হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর উপযোগী র‍্যাম্পের অস্তিত্ব তেমনভাবে চোখে পড়ে না। নেই তাদের উপযোগী কোন টয়লেট।

র‍্যাম্প না থাকলে কি অসুবিধা হয় এবং কিভাবে খুব সহজে একটি বহনযোগ্য র‍্যাম্প তৈরী করা যায় তার ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এখানে উল্লেখ্য যে বাইরের দেশে বহনযোগ্য র‍্যাম্প পাওয়া গেলেও এখানে এই ধরণের র‍্যাম্প এই প্রথম বি-স্ক্যান এর উদ্যোগে তৈরী করা হয়েছে। যা খুব শীঘ্রি ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ শুরু করা হবে।

প্রতিব্ন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে বলা হয় প্রতিবন্ধিতা এক ধরণের ভিন্নতা। বাংলাদেশের ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধিতার শিকার। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের কোন বিকল্প নেই। মনের বিশালতা বাড়ানোর প্রয়োজন। সেইসাথে পাঠ্যবইয়ে প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। মিডিয়া মানুষের মনের কুসংস্কারগুলো দূর করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে। বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন প্রতিবন্ধিতা একটি অভিশাপ। বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোতে মানুষকে সুন্দর হয়ে উঠার নানা রকম কৌশল শেখানোর চর্চা চলে যা প্রভাব ফেলতে পারে মানব বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করার মন মানসিকতায়। অন্যদিক থেকে হীনমন্যতা তৈরি করতে পারে একজন প্রতিবন্ধী মানুষের ভাবনায়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে এর প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। টিভি বিজ্ঞাপনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন, কিন্তু দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরী সম্ভব নয়।

বিশেষ অতিথিরা যা বলেন-
বি-স্ক্যান সভাপতি সাবরিনা সুলতানা তাঁর বক্তৃতায় বি-স্ক্যান এর জন্ম থেকে এ পর্যন্ত কর্মকান্ড তুলে ধরেন। সেই সাথে তিনি দৃষ্টভঙ্গী পরিবর্তনের আহ্ববান জানান।


জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার আইন কমিটির সদস্য জনাব মনসুর আহমেদ বলেন, জাতিসঙ্ঘ প্রতিবন্ধীঅধিকার আইন এর ৯ নং ধারা অনুযায়ী প্রবেশগম্যতা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেটা যেমন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য ঠিক তেমনিভাবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায়ও প্রযোজ্য।




অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তিনি কবি, সাহিত্যিক,নাট্যকারদের অনুরোধ জানান তাঁরা যেন প্রতিবন্ধীদের করুণার পাত্র হিসেবে না দেখিয়ে তাঁদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন। বি-স্ক্যান এর উদ্যোগের প্রশংসা করে পর্যায়ক্রমে তা করে তা সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন বড় বড় শহরে চালিয়ে নিয়ে যাবার আহ্ববান জানান। তিনি বলেন প্রযুক্তিকে নির্ভর করে যদি এগিয়ে যেতে পারেন বি-স্ক্যান সাংঘাতিক ভাল একটি ভূমিকা রাখতে পারবে।

যুগ্ন সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের জনাব বদিউল আলম বলেন প্রবেশগম্যতার ব্যাপারটি সরকারী পর্যায় থেকে নিশ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষার পর প্রতিবন্ধী মানুষের বিষয়টিই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে তাঁদের কাছে। প্রতিটি মানুষের মাঝে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাঁর বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট। সেই প্রতিভার মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

কবি ও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রবক্তা জনাব বেলাল মুহাম্মদ বলেন, আমরা আজো এ দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে পারিনি প্রতিবন্ধী আসলে আমরাই।

এছাড়াও সেমিনারে চলচ্চিত্র নির্মাতা জনাব সজল খালেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব নুরুল কবির, রোটারি ক্লাব ঢাকা সেন্ট্রালের সদস্য কমোডর আতাউর রহমান, এস.ডি.এস.এল এর সদশ্য শিরিন সুলতানা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন কিভাবে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে বি-স্ক্যান এর সাথে জড়িয়ে পড়েন। বি-স্ক্যান যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দা ফারজানা সুলতানার সাথে একমত হয়ে তিনি বলেন আসলেই বিজ্ঞাপণগুলো মানুষকে শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দের্যের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলছেন, যা মোটেও কাম্য নয়। সুযোগ পেলে অন্যরকমভাবে সক্ষম এই মানুষগুলো যে কোন কাজের জন্য দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনে বি-স্ক্যান এর মত সংগঠনগুলো কার্যকরীভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে সাধারন সম্পাদক সালমা মাহবুব বলেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতিবন্ধিতার দিকে না তাকিয়ে তার মাঝে প্রতিভার বিকাশ ও বিকশিত প্রতিভার মূল্যায়ন জরুরি। 


পরিশেষে বি-স্ক্যান এর সকল সদস্য এবং ইশারা ভাষার অনুবাদক মাহমুদা রহমান সারা-র পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপস্থাপিকা ফারহানা ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের মনের বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করবো আমাদের আভ্যন্তরিন অপ্রতিবন্ধক আত্ন উপলব্ধি শক্তির মাধ্যমে।

জীবনযুদ্ধে জেতার মন্ত্র শেখাচ্ছেন ‘ডাক্তারদিদি’

ঠিক যেন সিনেমার পর্দায় দেখা সেই গল্প। হুইলচেয়ারে বসে জীবনের লড়াই এক ডাক্তারের। কিন্তু ‘হুইলচেয়ার’ সিনেমায় দেখা সেই গল্পের সঙ্গে তফাত একটাই। এখানে ডাক্তার এক মহিলা। যিনি চেয়েছেন, পঙ্গুত্ব জয় করে মাথা উঁচু করে বাঁচতে। তাঁর মতো অন্য মানুষদেরও দিতে চেয়েছেন সম্মানের অস্তিত্ব। তিনি শর্মিষ্ঠা সিংহ। 
পাঁচ বছর আগে সেপ্টেম্বরের সেই দিনটির কথা পরিষ্কার মনে আছে তাঁর। এগারো দিন বাদে হাসপাতালের শয্যায় যখন জ্ঞান এল, তখন বুঝতে পারলেন, বুকের তলা থেকে শরীরের বাকি অংশটা অসাড়। হাসপাতালের আবাসনের ছাদে জামাকাপড় শুকোতে দিতে গিয়ে পা পিছলে তিনতলা থেকে পড়েছিলেন নীচে। প্রাণে বাঁচলেও মেরুদণ্ড দু’টুকরো হয়ে যায়। সাড়হীন হয়ে যায় নিম্নাঙ্গ। পরীক্ষায় দারুণ ফলাফল, সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক হিসেবে নামডাক, স্বামী-মেয়েকে নিয়ে গোছানো সংসার— এক মুহূর্তে সব অর্থহীন মনে হয়েছিল শর্মিষ্ঠা সিংহের। 


পাঁচ বছর বাদে সেই সরকারি চিকিৎসকই হুইলচেয়ারে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক জেলা থেকে অন্য জেলা। খুঁজে নিচ্ছেন মেরুদণ্ডের আঘাতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া দরিদ্র মানুষদের। তপন সিংহের ছবি ‘হুইলচেয়ার’-এর চরিত্র ডাক্তার মিত্রের মতো তিনিও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, পঙ্গুত্ব নিয়েও আত্মনির্ভর হয়ে বেঁচে থাকার। উনচল্লিশের শর্মিষ্ঠা যাকে বলেন, ‘লাইফ উইথ ডিগনিটি’।
সরকারি অথবা বেসরকারি স্তরে এমন মানুষের পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে কোনও মাথাব্যথা দেখা যায় না। তাই এ ক্ষেত্রেও ‘ডাক্তারদিদি’ নিজের উদ্যোগেই শেখাচ্ছেন, শরীরের অসাড়তা জয় করে জীবনের রং, রূপ, স্বাদ উপভোগ করে বাঁচার প্রক্রিয়া। 
পুনর্বাসন পরিষেবা প্রায় নেই বলেই মেরুদণ্ডের আঘাতে পঙ্গু হওয়ার পরে চরম সঙ্কটে পড়েন রোগীরা। পড়েছিলেন শর্মিষ্ঠাও। তিনি জানান, হঠাৎ বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে নিজেকে কী ভাবে সামলাবেন, তা বুঝতেই পারছিলেন না। নতুন নতুন সমস্যা এবং তারই সঙ্গে চেপে বসা মানসিক অবসাদকে জয় করতে পারছিলেন না।
এর পরে বাইরে থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে সেই সব বাধা ধীরে ধীরে পেরিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেকের পক্ষেই সেই প্রশিক্ষণ পাওয়া সম্ভব নয়। একটু সুস্থ হওয়ার পরে এই ভাবনা থেকেই আর জি করে ডাক্তারি সামলে অর্ধেক অসাড় শরীরেই নতুন কাজ শুরু হয় ‘ডাক্তারদিদি’র। তাঁর নিজের কথায়, “আমি বোঝা হয়ে যাব মনে করে অনেক কাছের মানুষ আমাকে ত্যাগ করেছিলেন। তাই দেখিয়ে দিতে চাই যে, আমার মতো মানুষেরা জড়পদার্থ হয়ে নয়, আত্মসম্মান নিয়েই বাঁচতে পারেন।” ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অর্থোপেডিক্যালি হ্যাণ্ডিক্যাপড’ এবং সব ক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নথি ঘেঁটে সম্প্রতি মেরুদণ্ডের আঘাতে পঙ্গু হয়েছেন, এমন মানুষদের নাম-ঠিকানা জোগাড় করতে শুরু করেন শর্মিষ্ঠা। ফোন করে, চিঠি লিখে যোগাযোগ শুরু হয় তাঁদের সঙ্গে। যাঁরা এঁদের মধ্যে আর্থসামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে, তাঁদের সঙ্গে নিজে দেখা করেন শর্মিষ্ঠা। 

নিজের বাড়িতে কাজে ব্যস্ত শর্মিষ্ঠা সিংহ। — নিজস্ব চিত্র
কখনও এই ‘ডাক্তারদিদি’ চলে যান জেলায়, কখনও মেরুদণ্ডের আঘাতে পঙ্গু রোগীকে পরিজনেরা নিয়ে আসেন কলকাতায়। শর্মিষ্ঠা নিজেই প্রশিক্ষণ দেন তাঁদের। জেলায় কর্মরত বন্ধু-চিকিৎসকেরাও এমন মানুষের কাছে পৌঁছতে তাঁকে সাহায্য করছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরাও। শর্মিষ্ঠা এমন রোগীদের নিয়ে এলে তাঁরা নিখরচায় চিকিৎসা করছেন, মানসিক কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করছেন। ‘স্পাইনাল ইনজুরি অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর প্রধান চিকিৎসক মৌলিমাধব ঘটকের কথায়, “মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্তদের একটা বড় অংশ দরিদ্র মানুষ। কেউ গাছে উঠতে গিয়ে পড়ে যান, কেউ পথ-দুর্ঘটনায় বা বাড়ি তৈরির কাজ করতে গিয়ে উঁচু থেকে পা পিছলে পড়ে পঙ্গু হন। স্বাস্থ্য দফতরকে বারবার বলেও অস্ত্রোপচারের পরে এই রোগীদের প্রাত্যহিক দিনযাপনের উপযোগী করার ব্যবস্থা হয়নি। কারও পরোয়া না-করে একাই সে কাজটা শুরু করেছেন শর্মিষ্ঠা।”
‘গুজারিশ’ ছবিতে দুর্ঘটনায় গলার নীচ থেকে অসাড় হয়ে যাওয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়েছিলেন হৃতিক রোশন অভিনীত চরিত্র জাদুকর ইথান মাসকারেনহাস। শর্মিষ্ঠা কিন্তু তা চান না। হুইলচেয়ারে বসেই মেরুদণ্ড-ভাঙা মানুষগুলিকে মেরুদণ্ড সোজা করে বাঁচার কৌশল শেখাতে চান তিনি।

সুত্রঃ পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা।











Belal 'honoured' with wheelchair

Physically challenged Belal Hossain, who defied all odds to become a successful farmer at his village home in Joypurhat district, has received a wheelchair, thanks to the initiative of Bangladeshi Systems Change Advocacy Network (B-SCAN).


B-SCAN, a Dhaka-based non-profit organisation especially working for disabled people, in association with Rotary Club of Dhaka arranged it. 

Joypurhat Deputy Commissioner (DC) Ashok Kumar Biswas handed over the wheelchair to Belal Hossain at his office yesterday noon. 

Earlier at a programme in Dhaka Club, Lt Gen (rtd) Harun Ar Rashid, president of Dhaka Rotary Club (Central), also a former army chief, handed over the wheelchair meant for Belal Hossain.

Salma Mahbub, general secretary of B-SCAN, was present at the programme. 

As it was difficult for physically challenged Belal to come to Dhaka to receive the wheelchair, Md Rubel Ahmed received it on behalf of this correspondent who later arranged sending it to Joypurhat DC.

After getting the wheelchair that would help him move with ease, Belal thanked all concerned with a smiling face. 

The National Page of The Daily Star on May 3 last year ran a story titled 'Physically challenged, he knows no defeat', describing Belal's success. 

Belal, sixth of seven children of Rokeya Begum, was affected with polio when he was only one year old. He read up to class III at the local primary school but could not continue study after his father's death. He got about 20 decimal of paternal land and started farming.
With firm determination and perseverance, he became a successful farmer and set a laudable example for locals.

Source: 2 February, 2011, Daily Star.

আল আমিনের বাবার চোখ অপারেশেন করা হয়েছে

আল আমিনের বাবা,আকমল হোসেনকে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে দেখানোর পর ডাক্তার বলেছেন,যত দ্রুত সম্ভব অপারেশেন করাতে কারণ চোখের যথেষ্ট ক্ষতি ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন। ছোট্ট একটি অপারেশেনের প্রয়োজন ছিল যা

  আরো ২/৩ বছর আগেই করানোর কথা। যাই হোক, এখনো যদি করা হয় তাহলেও তিনি ১০০% না হলেও চশমা ছাড়াই ভাল দেখতে পাবেন,দিনের আলোয় বাইরে যেতে কোন অসুবিধা হবে না। বর্তমানে আকমল হোসেন ৩'ফিট দুরত্বের বেশী দেখতে পান না।

যাই হোক, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১ সকাল সাড়ে ৯ টায় আকমল হোসেনের অপারেশেন হয়ে গেছে। আপাতত ডান চোখ করা হয়েছে পরে অন্য চোখ করা হবে। দুই দিন হাসপাতালে থাকার পর রুগী বাড়ী চলে গেছেন আগামী শনিবার পরবর্তী চেকআপ এ পর চোখের অবস্থা জানা যাবে।
তাঁর পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আমরা সবাই আকমল হোসেনের সুস্থতা কামনা করছি।

 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub