ইউনিভার্সাল টিউটোরিয়াল স্কুল

শিক্ষাই সকল শক্তির আধার। আর এই শিক্ষা থাকেই বঞ্চিত এ দেশের ১৬ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিশু। তাঁদের মাত্র ৪% স্কুলে যাবার সুযোগ পাচ্ছে। বি-স্ক্যান এর মূল চারটি বিষয়ের একটি হচ্ছে সকল প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ্যাডভোকেসি করা। গত ৩০ এপ্রিল, বুধবার সেই উদ্দেশ্যেই বি-স্ক্যান এর একটি দল গিয়েছিল ইউনিভার্সিটি টিউটোরিয়াল স্কুলে। তাঁদের ব্যবহার ছিল এদেশের আর দশটা স্কুল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।  তাঁরা বললেন প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে তাঁরা আগ্রহী এবং করছেনও। স্কুলের প্রশাসক নাসিম ইকবাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল জিনাত আমিন এর সাথে কথা বলে যা জানা গেল তা হলো






১। তাঁদের স্কুলে মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়ায় কোন বাঁধা নেই।
২। প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্যাপারটি নিয়ে তাঁরা বেশ সচেতন। তাঁদের স্কুলে বর্তমানে শারীরিক ২ দুজন ও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু পড়ছে।
৩। বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে পেরেন্টস ডে তে বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য তাঁ উদ্ভুদ্দু করতে বলা হয় এবং তাঁরা একমত পোষণ করেন।
৪। বি-স্ক্যান এর সন্ধানে যদি কোন মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার শারীরিক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর খোঁজ থাকে তাহলে তাঁদেরকে ঐ স্কুলে ভর্তির আবেদন জানাতে বললেন। তাঁরা সাদরে তাদের গ্রহণ করবেন। তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এই মুহুর্তে তাঁরা প্রস্তুত নন।
৫। বি-স্ক্যান যদি যোগ্য ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াতে সক্ষম এমন কোন শিক্ষকের সন্ধান দিতে পারেন তাহলে তাঁরা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।
৬। সবশেষে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে একটি পাওয়া পয়েন্ট প্রেজেন্টেশেন করার প্রস্তাব করে হলে তা সাদরে গ্রহন করা হয়। শীঘ্রই প্রেজেন্টেশেনটি করা হবে বলে বি-স্ক্যান এর পক্ষ  থেকে তাঁদের জানানো হয়।

- সালমা মাহবুব

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub