সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নেসা খানম বলেছেন, ২০০১ সালের প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনে কল্যাণ শব্দটি আছে বলেই সে আইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নতুন একটি আইন করতে হবে, তার কোনো মানে নেই। আইনটিকে মূল ধরে প্রয়োজনে বিধি বা নীতিতে সংশোধনী আসতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১০’ প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তবে পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটির চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুল মতিন বলেন, ২০০১ সালের আইনটি কল্যাণমূলক ছিল। তাই প্রস্তাবিত খসড়াটি ত্রুটিমুক্ত করে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটি এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম।
সভায় খসড়া প্রণয়নকারীদের একজন সদস্য এ এইচ এম নোমান খান বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আইন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা সনদের আলোকেই এ কাজ করা হচ্ছে।
ফোরামের সভাপতি খন্দকার জহুরুল আলম বলেন, সারা দেশের ১০ থেকে ১২ হাজার জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও সনদের আলোকে নতুন আইনের প্রয়োজন আছে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামকে নতুন একটি খসড়া করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাই সচিবের বক্তব্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
আইনজীবী তানিয়া আমীর আইনে প্রতিবন্ধিতা অধিকার কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া (খসড়ায় শুধু সরকারকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা) এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘনকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা থাকার ওপর গুরুত্ব দেন।
সচিব কামরুন নেসা তাঁর বক্তব্যে এ ধরনের কমিশন না থাকার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, দেশে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আছে। মানবাধিকার কমিশনও আছে। তাই আলাদা কমিশনের প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া খসড়ায় প্রান্তিক প্রতিবন্ধী শিরোনামে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীকে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আইনে নারী, শিশু আলাদা আলাদা ভাগ করতে গেলে কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হবে।
সভায় প্রস্তাবিত খসড়াটি পড়ে শোনান ফোরামের পরিচালক নাফিসুর রহমান। বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাছিমা বেগম, সাংসদ মীর শওকত হোসেন, সাংসদ এ বি এম গোলাম মোস্তফা, ফোরামের মহাসচিব জওয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
সূত্রঃ ২০ আগস্ট, ২০১০, প্রথম আলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১০’ প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তবে পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটির চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুল মতিন বলেন, ২০০১ সালের আইনটি কল্যাণমূলক ছিল। তাই প্রস্তাবিত খসড়াটি ত্রুটিমুক্ত করে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটি এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম।
সভায় খসড়া প্রণয়নকারীদের একজন সদস্য এ এইচ এম নোমান খান বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আইন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা সনদের আলোকেই এ কাজ করা হচ্ছে।
ফোরামের সভাপতি খন্দকার জহুরুল আলম বলেন, সারা দেশের ১০ থেকে ১২ হাজার জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও সনদের আলোকে নতুন আইনের প্রয়োজন আছে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামকে নতুন একটি খসড়া করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাই সচিবের বক্তব্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
আইনজীবী তানিয়া আমীর আইনে প্রতিবন্ধিতা অধিকার কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া (খসড়ায় শুধু সরকারকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা) এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘনকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা থাকার ওপর গুরুত্ব দেন।
সচিব কামরুন নেসা তাঁর বক্তব্যে এ ধরনের কমিশন না থাকার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, দেশে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আছে। মানবাধিকার কমিশনও আছে। তাই আলাদা কমিশনের প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া খসড়ায় প্রান্তিক প্রতিবন্ধী শিরোনামে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীকে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আইনে নারী, শিশু আলাদা আলাদা ভাগ করতে গেলে কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হবে।
সভায় প্রস্তাবিত খসড়াটি পড়ে শোনান ফোরামের পরিচালক নাফিসুর রহমান। বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাছিমা বেগম, সাংসদ মীর শওকত হোসেন, সাংসদ এ বি এম গোলাম মোস্তফা, ফোরামের মহাসচিব জওয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
সূত্রঃ ২০ আগস্ট, ২০১০, প্রথম আলো।
2 মন্তব্য(সমূহ):
আমার একটুও অবাক লাগছে না শুনে। আপনি কি ভুলে যাচ্ছেন, আমরা বাংলাদেশে বসবাস করি !!!
সেটা ভুলি নি তারপরও আশা করেছিলাম নতুন আইনটি হবে? এত আয়োজন করে ফলাফল শুন্য ?
Post a Comment