Daisy makes disabilities not so challenging

In Bangladesh, approximately 14 million people have some kind of disabilities. About 3 million of them are visually impaired. It is difficult to provide books and written information to these people. So, the alternative formats to print are Braille, talking books, e-text and large prints. Daisy (Digital Accessible Information System) for All, a range of diverse initiatives and interventions have been introduced in the country by an organisation Young Power in Social Action (YPSA), to address the problems and issues associated with disability and the people affected by it. They cover almost all types of service delivery models and rights based approaches in a multimedia form. The newest trend is the inclusion of information and communication...

সিআরপিতে পড়াশোনা

মিরপুর-১৪ থেকে উত্তর দিকে সিআরপি একাডেমিক ইনস্টিটিউট। সেখানকার নিচতলায় চোখে পড়ে হাত-পা ভাঙা আর রোগী নিয়ে হুইলচেয়ারে আসা-যাওয়া করা মানুষ। লিফটের কাছে দেখা হয় একজন ছাত্রের সঙ্গে। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। জানতে এসেছে কীভাবে ভর্তি হওয়া যায়। তার শখ তাড়াতাড়ি মেডিকেল কোর্স করে গ্রামের অবহেলিত মানুষের সেবা করবে। সপ্তম তলায় বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট (বিএইচপিআই)। লিফটের ডান পাশে একটা লাইব্রেরি। দেখতে বেশ বড়ই। বিএইচপিআই সম্পর্কে জানতে চাইলে লাইব্রেরি কর্মকর্তা দেখিয়ে দেন অধ্যক্ষের রুমটি। অধ্যক্ষ তখন সেখানে ছিলেন না। কথা হয় এ প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক ও সহসমন্বয়কারী বাসুবি দত্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যাদের ইচ্ছা মেডিকেল পড়ার, তারাই মূলত এখানে আসে।’ তিনি আরও জানান, ‘এখান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়ার পর সরকারি হাসপাতালে টেকনোলজিস্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে।’ কী পড়ানো হয়: ‘ছোটবেলা থেকে...

ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে

কোহিনূর বেগমের এবারের ঈদটা নিশ্চয়ই অন্য রকম হবে। নিরানন্দ জীবনের এ পর্যায়ে এসে হঠাৎ তাঁর মনে হচ্ছে, জীবনটা শুধু নিরেট গদ্য নয়, তাতে রয়েছে কবিতার ছন্দ।  প্রথম আলোর ছুটির দিনে ম্যাগাজিনে ‘তাহার একদিন’ কলামে কোহিনূর বেগমের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মুষলধারে বৃষ্টির পর তিনি তখন তাঁর দুই কন্যাকে নিয়ে ধানমন্ডি লেকের ধারে জীবন-সংগ্রামে ব্যস্ত। শুনিয়েছিলেন সংগ্রামের কাহিনি। দুই সন্তান জন্ম নেওয়ার পর শারীরিক প্রতিবন্ধী কোহিনূরকে ছেড়ে গেছেন স্বামী। এর পর থেকে কামরাঙ্গীর চরের ভাড়াবাড়ি থেকে তিনি ধানমন্ডি লেকের ধারে আসেন ভিক্ষা করতে। ধানমন্ডি-২ নম্বরের স্টার হোটেল থেকে ২৫ টাকার ভাত কিনে সন্তানদের নিয়ে দুই বেলা খান। তখনই বলেছিলেন, কাজ দ্যান না ক্যান? বলেছিলেন, কিছু টাকা পেলে একটি ছোট্ট দোকান দেওয়ার স্বপ্ন আছে তাঁর। লেখাটি...

 সিলসিলা ও সালমাদের স্বাস্থ্যকুশল - অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

সিসিলা অনেক দিন ধরেই বলছিল, স্যার, আমাদের নিয়ে কিছু লিখুন। বলেছিল সালমাও, ঢাকা থেকে। সিসিলা চট্টগ্রামে থাকে, সালমা ঢাকায়। মিষ্টি দুটি মেয়ে। হুইলচেয়ারে বসেছিল বাংলা একাডেমীতে বইমেলায় নজরুলমঞ্চের সামনে। নিজের কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। অন্যের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে হবে। আর বইমেলায় প্রতিবারই আসি, অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। সেদিনও এসেছিলাম। সালমা মুঠোফোনে ডাকল, স্যার, এই যে আমরা নজরুলমঞ্চের সামনে। এলাম। দেখলাম, খুব মিষ্টি দুটো মেয়ে। সালমা ও সিসিলা। সালমার নাকি ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। ক্রমে একদিন অবশ হলো শরীর। প্রতিবন্ধী হতে হলো। কিন্তু কী অসম্ভব মনের জোর। শাণিত বুদ্ধি সালমার। মনে হতাশা নেই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কী প্রবল ইচ্ছা এবং সে এতে জয়ীও হয়েছে। সিসিলাও কম যায় না। দেহের পেশিতে ব্যাধি ভর করেছে। নিশ্চল শরীর নিচের দিকে, তবু অদ্ভুত সুন্দর মুখশ্রী সিসিলার। পৃথিবী জয়ের হাসি তার ঠোঁটে। সুস্থ থাকা যে...

তাহার একদিন ‘কাজ দ্যান না কেন?’

'অনেকক্ষণ বৃষ্টি থেমে গেছে। বৃষ্টি থেমে গেছে অনেকক্ষণ।’ রামবসুর কবিতার পঙিক্ত। পরের পঙিক্তটি ‘খোকাকে শুইয়ে দাও’। সত্যিই বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু কোহিনূর বেগম তাঁর ‘খুকি’দের কোথাও শুইয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না। প্রতিবন্ধীরা চালাতে পারে এমন একটি ত্রিচক্রযানের সঙ্গে দুটো রশি আর ধানমন্ডি লেকের রেলিংয়ে দুটো রশি টানিয়ে নীল রঙের একটি পলিথিন রেখেছেন মাথার ওপর। বৃষ্টির ঝাপটা থেকে বাঁচার এই ছিল তাঁর উপায়। সিমেন্টের ফুটপাতে শিশু দুটিকে শুইয়ে দেওয়া যায় না। সুতরাং কোহিনূরের নয় বছরের নিশি আক্তার রুমানা আর সাড়ে তিন বছরের ফাতেমাতুজ জোহরা নামের দুটি মেয়ে ওই নীল চাদোয়ার নিচেই মায়ের সঙ্গে বসে আছে। ‘আপনার কী হয়েছে?’ ‘টাইফয়েড হইছিলো পনেরো বছর আগে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্যা।’ শিশু দুটিকে দেখিয়ে বলি, ‘ওদের বাবা কোথায়?’ ‘ওগো বাবা আরেকটা বিয়া করছে। আমারে ছাড়ে নাই। কোথায় আছে, বলতে পারব না। এক বছর তার কোনো ঠিকানা...

প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন নিয়ে মতবিরোধ

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নেসা খানম বলেছেন, ২০০১ সালের প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনে কল্যাণ শব্দটি আছে বলেই সে আইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নতুন একটি আইন করতে হবে, তার কোনো মানে নেই। আইনটিকে মূল ধরে প্রয়োজনে বিধি বা নীতিতে সংশোধনী আসতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১০’ প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  তবে পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটির চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুল মতিন বলেন, ২০০১ সালের আইনটি কল্যাণমূলক ছিল। তাই প্রস্তাবিত খসড়াটি ত্রুটিমুক্ত করে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ডিজঅ্যাবিলিটি এবং...

নোমান খানকে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সম্বর্ধনা

র‍্যামন ম্যাগসাসে পুরস্কার প্রাপ্ত এম নোমান খান কে গতকাল ১২ আগস্ট, ২০১০ জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। শ্রাবনের সন্ধ্যায় এই আয়োজনটি করা হয় এলজিইডি ভবনে। প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কর্মরত  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের প্রেসিডেন্ট জহুরুল হক মামুন, ডিসেবিলিটি রাইটস ওয়াচগ্রুপের আহ্বায়ক কাজী রোজী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের  উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী ও যাঁর জন্য এই আয়োজন এম নোমান খান এবং তাঁর সহধর্মীনি। সুইড বাংলাদেশ, সিডিডি, এসএআরপিভিসহ আরো বহু সংগঠনের প্রধান ও প্রতিনিধিরা শুভেচ্ছা জানান। লেখকঃ সালমা মাহবুব, ১১ আগস্ট, ২০১০।...

যাদুঘরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বি-স্ক্যান

জাতীয় যাদুঘরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, গত ৭ আগস্ট, ২০১০, এবারই প্রথম প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাদুঘরের পক্ষ থেকে বি-স্ক্যানসহ আরো কয়েকটি সংগঠনকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাদের সংগঠন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন তানজিনা এশা ও নিগার সুলতানা সুমি।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব, আবুল কালাম আজাদ, যাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব, আজিজুর রহমান ও যাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব, প্রকাশ চন্দ্র দাস। বি-স্ক্যান ছাড়াও অনুষ্ঠানে সোয়াত, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ড অব অটিস্টিক চাইল্ড অংশ নেয়। নাচে গানে মুখর এই সন্ধ্যাটি সবাই উপভোগ করেন। এই উপলক্ষ্যে বি-স্ক্যান এর বেশ কিছু সদস্য একত্রিত হন। তারা হলেন,আমাদের প্রধান উপদেষ্টা প্রোফেসার শুভাগত চৌধুরী, মেজর,...

শারিরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারেনি ফাল্গুনি ও শাহিনের চলার পথে

পটুয়াখালীর গলাচিপা শহরের জগদিশ চন্দ্র সাহার মেয়ে ফাল্গুনি সাহা। দরিদ্র পিতার ৪ মেয়ের মধ্যে ফাল্গুনি তৃতীয়। ২০০২সালে পাশের বাসার ছাদে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে ফাল্গুনির দুটি হাতই পুড়ে যায়। পরে কেটে ফেলতে হয় তার হাত দুটি। কিন্তু মেধাবী ফাল্গুনি সাহা তার লেখা-পড়া চালিয়ে যায়। ৫ম শ্রেনীতে বাহু দিয়ে লিখে সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। বর্তমানে সে গলাচিপা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার ক্রমিক নম্বর এক। শারিরিক প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি ফাল্গুনির দুরান্ত পথ চলা। ফাল্গুনি সাহা ভবিষ্যতে একজন বিসিএস কর্মকর্তা হতে চায়। কিন্তু তার পক্ষে সে পর্যন্ত পৌছা সম্ভব হবে কিনা তা তার জানা নেই। তবে সবার আশির্বাদ ও সহযোগিতা পেলে হয়তো ফাল্গুনি একদিন ঠিকই তার লক্ষ্যে পৌছতে...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub