ওরা দু’জন সহোদর। ঘাড়ে স্কুলব্যাগ ঝুলিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। কিন্তু আর ১০ স্বাভাবিক শিশুর মতো ওরা বেড়ে ওঠেনি। দুই হাঁটুর ওপর ভর করেই তারা স্কুল ও প্রাইভেট স্যারের বাসায় যায়। শারীরিক পঙ্গুত্ব তাদের লেখাপড়ার অদম্য ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রকৃতির কি নিষ্ঠুর খেলা, বড় বোনের জন্মের দুই বছর পর ছোট বোনের জন্মের পরও দেখা গেল তাদের হাঁটুর স্বাভাবিক গঠন নেই। বাড়ির বাইরে বের হলেই তাদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কিন্তু সবকিছুকে জয় করে আজ তারা প্রতিবন্ধী হয়েও প্রতিদিন আধা কিলোমিটার দূরে স্কুলে যাতায়াত করছে। তারা নিজেরা স্কুলের বেঞ্চে উঠে বসতে পারে না। তাই সহপাঠীরা তাদের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খন্দকার টোলার ওয়াজেদ আলীর মেয়ে রিমা (১৫) ও রিম্পা (১৩)। রিমা শাহ ইসলাম গাজী (র.) বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আর রিম্পা ঘোড়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। জানা গেছে, জন্মের পর ওদের হাঁটু থেকে পায়ের অসুখ ধরা পড়ে। মেয়েদের সুস্থ করার জন্য তার বাবা চিকিত্সা করেও কোনো ফল পাননি। তার দুটি সন্তানই শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি আর কোনো সন্তানও নেননি। রিমা ও রিম্পা জানায়, লেখাপড়া করে তারা দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত হবে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই তাদের হোঁচট খেতে হয়, যখন আর্থিক দিক দিয়ে অসচ্ছল বাবা-মা তাদের বই-খাতা ও শিক্ষা উপকরণ ঠিকমতো দিতে পারেন না।
সুত্রঃ মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল ২০১০, আমারদেশ।
সুত্রঃ মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল ২০১০, আমারদেশ।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment