প্রতিবন্ধী শিশুদের একীভুত শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে স্কুলগুলোকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ হিসেবে আমরা যে লিফলেট ছাপিয়ে ছিলাম, সেই কাজের অংশ হিসেবে, গত ৩ এপ্রিল, ২০১০ আমরা মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ঊত্তরা গিয়েছিলাম প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে।
তিনি বললেন, তার স্কুলে প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি হতে কোন বাধা নেই এবং এমন বেশ কিছু শিশু তার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তবে তিনি স্বীকার করলেন, তাদের প্রতি সহপাঠী ও কখনো কখনো কিছু শিক্ষকের আচরণও শোভন নয়। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ক্লাস ফাইভের একটি ছাত্রের কথা বললেন, যে বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে বাড়েনি। লম্বায় তার সহপাঠীদের তুলনায় সে অনেক খাটো, সেই কারনে ক্লাসের কেউ তার সাথে মেশে না, ছেলেটি সব সময় মুখ কালো করে বসে থাকে, কিন্ত সে খুব ভাল ছাত্র। প্রধান অধ্যক্ষ খুবই স্নেহশীল একজন মানুষ, তিনি প্রায়ই ঐ ক্লাসের ছেলেদের বোঝানো চেষ্টা করেন, ওর এই অবস্থা জন্য ও নিজে দায়ী নন। আল্লাহ যা কে যেমন বানিয়েছেন তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতে নেই।
আমরা বললাম, স্যার, ক্লাসে ও একা বলেই বাকীরা এমন করে, আরো কিছু প্রতিবন্ধী শিশু যদি ঐ ক্লাসে থাকতো তাহলে এমন আচরণ সহপাঠীরা করতো না এবং ঐ ছেলেটিও একা বোধ করতো না। উনি আমাদের সাথে একমত পোষন করলেন। তবে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি আচরণের শিক্ষাটি পরিবার থেকে দেয়ার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করলেন।
তিনি আমাদের কোন এলাকায় কতজন কি ধরনের প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে সেরকম একটি সার্ভে করতে বললেন যেটা নিয়ে আমরা বিভিন্ন স্কুলে কথা বলতে পারবো। কিন্তু এ ব্যপারে বি-স্ক্যানে এর সীমাবদ্ধতার কথাও জানানো হয়। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার তা চাইতে হবে কেন? আমরা বাংলাদেশে মাত্র ৪% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারে এবং আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ প্রতিবন্ধী শিশু আছে তা জানালাম। বাংলাদেশে দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ আছে জেনে তিনি অবাক হলেন।
প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি আচরণ পরিবর্তনে মিডিয়ার আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করা উচিত বলে তিনি আমাদের সাথে একমত পোষন করলেন। ধর্মীয় বিবেচনায়ও যে এমন মানুষের সাথে খারাপ আচরণ মারাত্নক গুনাহর কাজ তিনি তাও উল্ল্যেখ করলেন।
তিনি বিভিন্ন এসেম্বিলিতে প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে থাকেন। বি-স্ক্যান তার কাছে যাওয়াতে তিনি বিষয়টি আরো বেশী গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করবেন বলে আমাদের জানালেন।
সবশেষে আমরা তাদের স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে কিছু সচেতনতামুলক বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ চাইলে উনি তাতে সম্মতি প্রদান করেন। আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কর্নেল (অবঃ) নুরুন নবী সাহেবের কাছে তার শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেবার জন্য। আমরা আশা করি তার মত আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন আমাদের দিকে।
তিনি বললেন, তার স্কুলে প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি হতে কোন বাধা নেই এবং এমন বেশ কিছু শিশু তার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তবে তিনি স্বীকার করলেন, তাদের প্রতি সহপাঠী ও কখনো কখনো কিছু শিক্ষকের আচরণও শোভন নয়। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ক্লাস ফাইভের একটি ছাত্রের কথা বললেন, যে বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে বাড়েনি। লম্বায় তার সহপাঠীদের তুলনায় সে অনেক খাটো, সেই কারনে ক্লাসের কেউ তার সাথে মেশে না, ছেলেটি সব সময় মুখ কালো করে বসে থাকে, কিন্ত সে খুব ভাল ছাত্র। প্রধান অধ্যক্ষ খুবই স্নেহশীল একজন মানুষ, তিনি প্রায়ই ঐ ক্লাসের ছেলেদের বোঝানো চেষ্টা করেন, ওর এই অবস্থা জন্য ও নিজে দায়ী নন। আল্লাহ যা কে যেমন বানিয়েছেন তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতে নেই।
আমরা বললাম, স্যার, ক্লাসে ও একা বলেই বাকীরা এমন করে, আরো কিছু প্রতিবন্ধী শিশু যদি ঐ ক্লাসে থাকতো তাহলে এমন আচরণ সহপাঠীরা করতো না এবং ঐ ছেলেটিও একা বোধ করতো না। উনি আমাদের সাথে একমত পোষন করলেন। তবে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি আচরণের শিক্ষাটি পরিবার থেকে দেয়ার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করলেন।
তিনি আমাদের কোন এলাকায় কতজন কি ধরনের প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে সেরকম একটি সার্ভে করতে বললেন যেটা নিয়ে আমরা বিভিন্ন স্কুলে কথা বলতে পারবো। কিন্তু এ ব্যপারে বি-স্ক্যানে এর সীমাবদ্ধতার কথাও জানানো হয়। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার তা চাইতে হবে কেন? আমরা বাংলাদেশে মাত্র ৪% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারে এবং আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ প্রতিবন্ধী শিশু আছে তা জানালাম। বাংলাদেশে দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ আছে জেনে তিনি অবাক হলেন।
প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি আচরণ পরিবর্তনে মিডিয়ার আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করা উচিত বলে তিনি আমাদের সাথে একমত পোষন করলেন। ধর্মীয় বিবেচনায়ও যে এমন মানুষের সাথে খারাপ আচরণ মারাত্নক গুনাহর কাজ তিনি তাও উল্ল্যেখ করলেন।
তিনি বিভিন্ন এসেম্বিলিতে প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে থাকেন। বি-স্ক্যান তার কাছে যাওয়াতে তিনি বিষয়টি আরো বেশী গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করবেন বলে আমাদের জানালেন।
সবশেষে আমরা তাদের স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে কিছু সচেতনতামুলক বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ চাইলে উনি তাতে সম্মতি প্রদান করেন। আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কর্নেল (অবঃ) নুরুন নবী সাহেবের কাছে তার শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেবার জন্য। আমরা আশা করি তার মত আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন আমাদের দিকে।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment