এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১। এ উপলক্ষ্যে আমাদের স্টেডিয়ামগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে আইসিসির নিতিমালা অনুযায়ী। একটি ইন্টারন্যাশনাল ভেন্যুতে যে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন তার সব কিছু দিয়েই ঢেলে সাজানোর কথা ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেই সাথে আমাদের দেশে এবারই প্রথমবারের মতোন এতো বড় একটি আয়োজনে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্যে আলাদা করে বসার জায়গা এবং টয়লেটের সুব্যবস্থা রাখার কথা হয়েছে । নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ বিধায় উল্লেখ্য ব্যাবস্থা অবলোকনের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করনে স্বেচ্ছাশ্রমধর্মী সংগঠন বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) এর পক্ষ থেকে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল গত ৭ মার্চ’২০১১ ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে যায় এবং আরেকটি প্রতিনিধি দল ৮ মার্চ’২০১১ চট্রগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যায় । বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে পান হুইলচেয়ার ব্যাবহার কারীদের জন্য ২৫ সিট এর একটি গ্যালারী রাখা হয়েছে সেই সাথে আলাদা টয়লেট এর সুব্যবস্থাও আছে। কোনরকম আলাদা আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি যাতে করে সবুজ কার্পেট বিছানো গ্যালারীতে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব হুইলচেয়ার দ্বারাই অসনের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। নর্থক্লাব হাউসের প্রবেশ তোরন থেকেই র্যাম্প এর সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিধায় হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা প্রবেশ জনিত কোন বাঁধার সম্মুখিন হওয়া ছাড়াই গ্যালারীতে পৌছুতে পারবেন । অপর দিকে চট্টগ্রামের দু'জন বি-স্ক্যান সদস্য সুমীমা ইয়াসমিন এবং অন্তু নূর এর সহযোগীতায় আমি নিজে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম । কিন্তু সেখানে দেখলাম সম্পুর্ন ভিন্ন চিত্র। প্রবেশ পথের শুরুতেই তিন ফিট উচু সিঁড়ির তিনটি ধাপ আমার জন্যে বাধার কারন হয়ে দাঁড়ালো ।
একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী প্রায় তার সমপরিমান উচ্চতার এই সিঁড়ির পেরিয়ে কিভাবে ভেতরে প্রবেশ করবে এই সহজ প্রশ্নটি কারুর মাথায় একটিবারের তরেও এলো না !!
প্রায় চার/পাঁচ জনের সহযোগীতায় অনেক কষ্টে স্টেডিয়ামের এর অভ্যন্তরে পৌঁছুলাম । আরো অবাক করা ব্যপার ১৮,৫৬৩ আসন বিশিষ্ট গ্যালারির সামনের সাড়ীর ৫৭টি আসন হুইলচেয়ার ব্যবহার কারীদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হলেও, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য কোন প্রকার বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি । রোদ্দুরের প্রখর উত্তাপের মাঝে গ্যালারীর নির্ধারিত এই আসনগুলোতে বসে খেলা উপভোগ করা একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্যে অত্যন্ত কষ্টের হবে ।
এই ব্যপারে সেখানে উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদিন জানালেন, "বর্তমান আয়োজনে যে সকল অব্যবস্থা বি-স্ক্যান কর্তৃক তুলে ধরা হয়েছে তার গুরুত্ব বিবেচনায়, পরবর্তী মিনি বিশ্বকাপ আয়োজনের আগেই কতৃপক্ষ সে সকল অব্যবস্থার সঠিক মূল্যায়নে ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করবেন। সেই সাথে আরো নিশ্চিত করেন সময় সংক্ষিপ্ততার কারনে বর্তমান আয়োজনে সাময়িকভাবে কাঠের র্যাম্প এর ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে গ্যালারীতে প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হবে। " চট্রগ্রাম স্টেডিয়াম ভেনু চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন মোঃ আলমগির বি-স্ক্যান প্রতিনিধি দলের সাথে সে সময় উপস্থিত না থাকতে পারলেও টেলিফোনে জানান “আপনাদের পরামর্শ আমি শুনেছি এবং এ ব্যাপারে যথা সম্ভব দ্রুততার সাথেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো”। আশা করছি চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সত্যিকার অর্থেই কথা রাখবেন ।
লেখক - সাবরিনা সুলতানা
একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী প্রায় তার সমপরিমান উচ্চতার এই সিঁড়ির পেরিয়ে কিভাবে ভেতরে প্রবেশ করবে এই সহজ প্রশ্নটি কারুর মাথায় একটিবারের তরেও এলো না !!
প্রায় চার/পাঁচ জনের সহযোগীতায় অনেক কষ্টে স্টেডিয়ামের এর অভ্যন্তরে পৌঁছুলাম । আরো অবাক করা ব্যপার ১৮,৫৬৩ আসন বিশিষ্ট গ্যালারির সামনের সাড়ীর ৫৭টি আসন হুইলচেয়ার ব্যবহার কারীদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হলেও, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য কোন প্রকার বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি । রোদ্দুরের প্রখর উত্তাপের মাঝে গ্যালারীর নির্ধারিত এই আসনগুলোতে বসে খেলা উপভোগ করা একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্যে অত্যন্ত কষ্টের হবে ।
এই ব্যপারে সেখানে উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদিন জানালেন, "বর্তমান আয়োজনে যে সকল অব্যবস্থা বি-স্ক্যান কর্তৃক তুলে ধরা হয়েছে তার গুরুত্ব বিবেচনায়, পরবর্তী মিনি বিশ্বকাপ আয়োজনের আগেই কতৃপক্ষ সে সকল অব্যবস্থার সঠিক মূল্যায়নে ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করবেন। সেই সাথে আরো নিশ্চিত করেন সময় সংক্ষিপ্ততার কারনে বর্তমান আয়োজনে সাময়িকভাবে কাঠের র্যাম্প এর ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে গ্যালারীতে প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হবে। " চট্রগ্রাম স্টেডিয়াম ভেনু চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন মোঃ আলমগির বি-স্ক্যান প্রতিনিধি দলের সাথে সে সময় উপস্থিত না থাকতে পারলেও টেলিফোনে জানান “আপনাদের পরামর্শ আমি শুনেছি এবং এ ব্যাপারে যথা সম্ভব দ্রুততার সাথেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো”। আশা করছি চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সত্যিকার অর্থেই কথা রাখবেন ।
লেখক - সাবরিনা সুলতানা
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment