বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও আইসিসি কতৃক হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ এবং কিছু কথা

এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১। এ উপলক্ষ্যে আমাদের স্টেডিয়ামগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে আইসিসির নিতিমালা অনুযায়ী। একটি ইন্টারন্যাশনাল ভেন্যুতে যে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন তার সব কিছু দিয়েই ঢেলে সাজানোর কথা ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেই সাথে আমাদের দেশে এবারই প্রথমবারের মতোন এতো বড় একটি আয়োজনে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্যে আলাদা করে বসার জায়গা এবং টয়লেটের সুব্যবস্থা রাখার কথা হয়েছে । নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ বিধায় উল্লেখ্য ব্যাবস্থা অবলোকনের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করনে স্বেচ্ছাশ্রমধর্মী সংগঠন বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) এর পক্ষ থেকে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল গত ৭ মার্চ’২০১১ ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে যায় এবং আরেকটি প্রতিনিধি দল ৮ মার্চ’২০১১ চট্রগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যায় । বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে পান হুইলচেয়ার ব্যাবহার কারীদের জন্য ২৫ সিট এর একটি গ্যালারী রাখা হয়েছে সেই সাথে আলাদা টয়লেট এর সুব্যবস্থাও আছে। কোনরকম আলাদা আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি যাতে করে সবুজ কার্পেট বিছানো গ্যালারীতে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব হুইলচেয়ার দ্বারাই অসনের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। নর্থক্লাব হাউসের প্রবেশ তোরন থেকেই র‍্যাম্প এর সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিধায় হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা প্রবেশ জনিত কোন বাঁধার সম্মুখিন হওয়া ছাড়াই গ্যালারীতে পৌছুতে পারবেন । অপর দিকে চট্টগ্রামের দু'জন বি-স্ক্যান সদস্য সুমীমা ইয়াসমিন এবং অন্তু নূর এর সহযোগীতায় আমি নিজে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম । কিন্তু সেখানে দেখলাম সম্পুর্ন ভিন্ন চিত্র। প্রবেশ পথের শুরুতেই তিন ফিট উচু সিঁড়ির তিনটি ধাপ আমার জন্যে বাধার কারন হয়ে দাঁড়ালো ।


একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী প্রায় তার সমপরিমান উচ্চতার এই সিঁড়ির পেরিয়ে কিভাবে ভেতরে প্রবেশ করবে এই সহজ প্রশ্নটি কারুর মাথায় একটিবারের তরেও এলো না !!


প্রায় চার/পাঁচ জনের সহযোগীতায় অনেক কষ্টে স্টেডিয়ামের এর অভ্যন্তরে পৌঁছুলাম । আরো অবাক করা ব্যপার ১৮,৫৬৩ আসন বিশিষ্ট গ্যালারির সামনের সাড়ীর ৫৭টি আসন হুইলচেয়ার ব্যবহার কারীদের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হলেও, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য কোন প্রকার বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি । রোদ্দুরের প্রখর উত্তাপের মাঝে গ্যালারীর নির্ধারিত এই আসনগুলোতে বসে খেলা উপভোগ করা একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্যে অত্যন্ত কষ্টের হবে ।


এই ব্যপারে সেখানে উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদিন জানালেন, "বর্তমান আয়োজনে যে সকল অব্যবস্থা বি-স্ক্যান কর্তৃক তুলে ধরা হয়েছে তার গুরুত্ব বিবেচনায়, পরবর্তী মিনি বিশ্বকাপ আয়োজনের আগেই কতৃপক্ষ সে সকল অব্যবস্থার সঠিক মূল্যায়নে ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করবেন। সেই সাথে আরো নিশ্চিত করেন সময় সংক্ষিপ্ততার কারনে বর্তমান আয়োজনে সাময়িকভাবে কাঠের র‍্যাম্প এর ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে গ্যালারীতে প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হবে। " চট্রগ্রাম স্টেডিয়াম ভেনু চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন মোঃ আলমগির বি-স্ক্যান প্রতিনিধি দলের সাথে সে সময় উপস্থিত না থাকতে পারলেও টেলিফোনে জানান “আপনাদের পরামর্শ আমি শুনেছি এবং এ ব্যাপারে যথা সম্ভব দ্রুততার সাথেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো”। আশা করছি চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সত্যিকার অর্থেই কথা রাখবেন ।  

লেখক - সাবরিনা সুলতানা

একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাবরিনার ব্লগ মনোনীত

জার্মান সরকারি গণমাধ্যম আয়োজিত ববস (BOBS - Best of Blogs) একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার সেরা ব্লগগুলোকে বাছাই করা হয়। ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো জেনে গিয়েছেন এই প্রতিযোগিতায় বেস্ট ব্লগ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন  সাবরিনা সুলতানা। আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। কিন্তু সাবরিনাকে বিজয়ের মুকুট পড়াতে আমাদের অনেক অনেক ভোটের প্রয়োজন। ভোট দেবার শেষ সময় ১০ এপ্রিল।

এই প্রতিযোগিতায় কি করে ভোট দিবেন বুঝিয়ে বলছি।

একটি ফেসবুক অথবা টুইটার একাউন্ট যে কোনো একটি থাকলেই আপনি ভোট দিতে পারবেন। আবার উভয় একাউন্ট থেকেই ভোট দেয়া যাবে।




*প্রথমে এই লিংকটি ক্লিক করুন:
http://thebobs.dw-world.de/

* তারপর আপনার ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন:
হাতের ডানে লগইনের জন্য ফেসবুক আইকনটি দেয়া আছে তাতে ক্লিক করলে আলাদা উইন্ডো আসবে,সেখানে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


* এবার IN THE CATEGORY তে BEST BLOG বিভাগটি সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করার জন্য ড্রপডাউন মেনুতে ক্লিক করুন।

* সিলেক্ট করার পর পাশেই I VOTE FOR এর ড্রপডাউন মেনুতে Sabrina’s blog সিলেক্ট করুন। এরপর Vote বাটনে ক্লিক করুণ।

আপনি ২৪ ঘন্টায় প্রতিটি ক্যাটাগরিতে একবার ভোট দিতে পারবেন। চলুন আমরা সাবরিনার স্বপ্নপূরণে তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি। সাবরিনার জয় মানে প্রতিবন্ধী মানুষের জয়।

- সালমা মাহবুব

আদমশুমারিতে প্রতিবন্ধী মানুষকে গণনায় অন্তর্ভূক্ত করতে সচেতন হোন

আজ থেকে শুরু হয়েছে "আদমশুমারি ২০১১"। ফর্মের ১৯ নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা নিরূপণে সাহায্য করুন। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ যে এবার সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণে প্রশ্ন রাখার ব্যবস্থা করছেন। অনেকদিন থেকেই আমরা একটি সঠিক জরীপের অভাব অনুভব করছি। কারণ আজও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ২৫ বছর আগে করা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি সুন্দর অবকাঠামো তৈরীতে আমাদের নিজস্ব জরীপ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য শিক্ষা, চাকরি, যাতায়াত ব্যবস্থা, বিশেষ স্কুল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পূনর্বাসন কেন্দ্র, রিসার্চ সেন্টার ইত্যাদি সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে সরকারের সহায়ক হবে।  প্রতিটি মানুষের আছে মৌলিক অধিকার। প্রতিবন্ধী মানুষের ধরন অনুযায়ী সংখ্যা পাওয়া গেলে, তা প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।



নিচে ছবিতে আদমশুমারি ফর্মের ছবি দেয়া হলোঃ










১৯ নম্বর প্রশ্নে দেয়া আছে যে,
০ = সমস্যা নেই
১ = বাক (বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অর্থাৎ যিনি কথা বলতে পারেন না)
২ = দৃষ্টি (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি)
৩ = শ্রবণ (শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অর্থাৎ যিনি কানে শুনতে পান না)
৪ = শারিরীক (শারিরীক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, এই ক্ষেত্রে চলন প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে)
৫ = মানসিক (মানসিক / বুদ্ধি প্রতিবন্ধী একই ঘরে অন্তর্ভুক্ত)
৬ = অটিস্টিক (অটিস্টিক শিশু বা ব্যক্তি)।

আপনার ঘরে উপরোক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি/শিশু থাকলে, তার তথ্য লুকিয়ে না রেখে অবশ্যই তথ্য ফর্মে তার কথা উল্লেখ করবেন। সামাজিকতার ভয় বা লজ্জাকে কখনো প্রাধান্য দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার সামান্য সচেতনতা বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও পালনে যথেষ্ট সাহায্য করবে। এ লক্ষ্যে আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সঠিক সংখ্যা নিরুপণে করণীয় সম্পর্কে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মতামত জানতে চাইলে তাঁরা  বলেন -

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী,
পরিচালক লেবরেটরি সার্ভিসেস,বারডেম,
প্রধান উপদেষ্টা বি-স্ক্যান
আমি আদমশুমারিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যথাযথ স্থান ও মর্যাদা তৈরী লক্ষ্যে যেন এই গণনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত  সঠিকভাবে বিস্তৃত হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাহলেই বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণের সঠিক চিত্রটি বেরিয়ে আসবে।

ডাঃ এ এস কিউ সাদেক,
পরিচালক, বারডেম
প্রতিবন্ধী মানুষের সঠিক মুল্যায়নের লক্ষ্যে আদমশুমারীতে তাঁদের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণে সবাই সচেষ্ট হোক তাই কাম্য।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল,
শিক্ষাবিদ ও লেখক
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী  মানুষের সংখ্যা অনেক, যে সংখ্যাটি এখনো অজানা এবং এরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত। আমার মতে, প্রতিবন্ধী মানুষের জন্যে রাষ্ট্র তখনই কিছু একটা করবে যখন প্রকৃত সংখ্যাটি নিরুপন সম্ভব হবে।  ফলে দেখা যাবে এই বিশাল সংখ্যক একটা জনগোষ্ঠির জন্যে কিছুই করা হচ্ছে না। আর এ কারণেই এমন একটা সঠিক পরিসংখ্যান খুবই দরকার যে আমাদের দেশে কত ধরণের এবং কতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন। যেহেতু প্রতিবন্ধিতা বিভিন্ন ধরণের হয় তাই এর প্রত্যেকটা ধরণের হিসেব আলাদাভাবে বের করে আনতে হবে।  তথ্য বের করে আনার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে কিভাবে তাঁরা পরিসংখ্যানটা বের করবে, কিভাবে পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রচারণার মাধম্যে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে তাঁদের পরিবারে যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকেন তাহলে তা গোপন করলে সমাজেরই ক্ষতি। এসব বিষয়ে সরকার নজর দিলে এবারের আদমশুমারীতে অন্যান্য সকল তথ্যের পাশাপাশি আমাদের দেশে কতজন প্রতিবন্ধী আছেন সে তথ্যটা সঠিকভাবে বের হয়ে আসবে এবং আদমশুমারী সফল হবে বলে আমি আশা করছি।

টি আই এম নুরুল কবির,
সহ সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স
বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে ফিজিক্যালী এবং মেন্টালী চ্যালেঞ্জড যারা আছে তাঁদের বিশাল একটা জনগোষ্ঠি বঞ্চিত। আমি মনে করি, তাঁদের ব্যাপারে সরকারের একটা বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। আসছে আদমশুমারী ২০১১ তে এই জিনিসটাও প্রতীয়মান হওয়া উচিত যে বাংলাদেশে এ ধরণের ফিজিক্যালী এবং মেন্টালী চ্যালেঞ্জড মানুষ কতজন আছেন। যাতে করে তাঁদের জন্যে সরকার একটা বিশেষ ভূমিকা নিতে পারেন বা পরিকল্পনা নেওয়ার সময় সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো, সরকারের সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন তাঁরা যেন আদমশুমারী চলাকালীন সময়ে এদের ব্যাপারে একটা বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন।

মুনির হাসান,
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ যে সরকার এবার আদমশুমারি'২০১১ তে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা জানার জন্য প্রশ্ন রাখার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা বের করে আনার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রয়োজন। এদেশের বেশীরভাগ মানুষ তাঁর প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে লুকিয়ে রাখতে চান। তাই সবাই যেন সতস্ফুর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন তার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা দরকার রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়েই সমাজ এবং তাঁরা কারো করুণা চায় না। তাঁদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবার কাজ করতে হবে।

হাসান মাহমুদ
লেখক ও নাট্যকার
মানুষের শরীরের মতই একটা জাতির সুস্থতার জন্য তার প্রতিটি অঙ্গ সমানভাবে সুস্থ থাকতে হয়।  সেজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা দরকার, এবং সঠিক পরিকল্পনার জন্য সঠিক জরীপের বিকল্প নেই। প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সাধারণ ও বিশেষ অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁদের বর্তমান পরিসংখ্যান তাই অত্যন্ত জরুরী।  শারীরিক  প্রতিবন্ধীদের অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে অসাধারণ মেধার অধিকারী। আদমসুমারীতে এই প্রকল্প যোগ করা হলে তাঁদের জন্য সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও রাজনীতি সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির উন্নয়নে মৌলিক অবদান রাখার প্রথম বাঁধাটা কেটে যাবে।


জালাল আহমেদ,
ভাইস চেয়ার ম্যান,এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো
আমি মনে করি সরকারের যে কোন পরিকল্পনার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা জানা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে যে সকল শুমারীকারক নিয়োজিত হবেন, প্রশিক্ষণকালে তাঁদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে, গুরত্ব বুঝাতে হবে যাতে তাঁরা শুমারীকালে নিজ নিজ এলাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করেন। শুমারীকারকদের উদ্ভুদ্দুকরণ  জরুরী।

আহমাদ মাযহার,
শিশু সাহিত্যিক
আদমশুমারী ২০১১ এর ১৯ নম্বর প্রশ্নের ঘর সঠিকভাবে পূরণ সফল করতে হলে কর্মীদের  প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন এবং স্বতস্ফুর্তভাবে পরিবারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রে ব্যাপক প্রচারণা দরকার। যাতে করে পরিবার থেকে প্রকৃত তথ্যটি আদমশুমারী কর্মীদের জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় পলিসি অন্তর্ভূক্ত করতে হলে প্রকৃত সংখ্যা জানা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও কোন ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্যে রাষ্ট্রের কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটা নিরুপনও সহজভাবেই সম্ভব হবে।


বদিউল আলম,
যুগ্ন সচিব,সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
ফ্যামিলি মেম্বারের পরের কলামেই প্রতিবন্ধী মানুষের বিষয়ে প্রশ্নটি আসা দরকার ছিল। সেইসাথে তার বয়স, বাকি তথ্য না চেয়ে ২/৩টি সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়া ভালো। তারপরও এটি একটি বিশাল উদ্যোগ।

সজল খালেদ
চলচ্চিত্র নির্মাতা
খুব অবাক লেগেছে যখন শুনলাম দশ শতাংশের মধ্যে মাত্র চার শতাংশ ফিজিক্যালী চ্যালেঞ্জড শিশু নরমাল স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়। যা কিনা প্রায় পঁচিশ বছর আগের পরিসংখ্যান। কিন্তু এখন যদি নতুন করে পরিসংখ্যান করা হয় দেখা যাবে এই সংখ্যাটা ভয়ংকর পরিমাণে বেড়ে গেছে এবং বিশাল এক জনগোষ্ঠি বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে তখন সরকারের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়বে। সরকার এদের জন্যে কিছু করার তাগিদ অনুভব করবে। এ কারণেই মূল সংখ্যাটা জানা অত্যন্ত জরুরী। এ ছাড়াও আমি আরেকটি বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, শুধু মাত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা নিরুপনে আলাদাভাবে একটি আদমশুমারী কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক।


তুষার আব্দুল্লাহ,
সাংবাদিক,পরিচালক,সময় টেলিভিশন
প্রতিবন্ধী মানুষের প্রকারভেদ আছে। আসছে আদমশুমারীতে সেই অনুসারেই তাঁদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। না হলে প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে রাষ্ট্র এবং সমাজ প্রয়োজনীয় উদ্যোগটি যুতসই ভাবে নিতে পারবে না।


গিয়াস আহমেদ,
যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, দেশ টিভি
প্রতিবন্ধী মানুষের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপন অত্যন্ত জরুরী। আর এবারের আদমশুমারী সফল করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সরকারের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে বেসরকারী মিডিয়াগুলোতেও একটা সহযোগী ভূমিকা এগিয়ে আসতে পারে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে।


আবু সাঈদ আহমেদ
সভাপতি, ব্লগারস ফোরাম
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় যুব কাউন্সিল
চলতি আদমশুমারীটিকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন এবং সঠিক তথ্যভিত্তিক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। প্রতিবন্ধী মানুষরা আমাদের পরিবারের মানুষ, আমাদেরই স্বজন। এই আদমশুমারীটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে প্রতিবন্ধী মানুষদের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহন এবং বাস্তবায়নসহ সকলক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সরকারের নিকট বিনীত আহ্বান, আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধী মানুষদের বিষয়টিকে যেন যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়।

জিয়া রায়হান,
লেখক এবং  ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্প্যানিশ ফ্যাশন লিঃ
ভাবতে অবাকই লাগে যে আজও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ২৫ বছর আগে করা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পরিসংখ্যান ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা নিরুপন করা হয়। স্বাধীনতার এতো বছর পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের জানা নেই বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা কত। আমাদের দেশে ও সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির  সর্ব প্রকার সুযোগ ও সুবিধা, সেই সাথে একজন স্বাভাবিক সুস্থ্য নাগরিকের সমপরিমান নাগরিক অধিকার একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ও সমান-এটি আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। আর এ কারনেই আমাদের খুব জানা দরকার বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা কত।  আসছে আদমশুমারী ২০১১ এর মাধ্যমে এটি আমাদের কাছে পুরনো ভুল শুধরে নেবার একটি সুযোগ । আশা করি সরকার এ বিষয়টি ভাববেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে সামাজিক ও নাগরিক বৈষম্য দূরীকরনে উদাহরন সৃষ্টি করবেন এবং বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) কে ধন্যবাদ জানাই এই বিষয়টি সবার নজরে আনার জন্য।

মুসা ঈব্রাহিম,
এভারেষ্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী
একজন সাধারণ নাগরিকের যা অধিকার ফিজিক্যালী চ্যালেঞ্জড যারা আছেন আমাদের দেশে তাঁদেরও সমান অধিকার থাকতে হবে সমাজে। নিজের দেশেই তাঁদের যেন কারোর কাছে অধিকার চেয়ে ফিরতে না হয়। এ জন্যে পরিবারকেই সচেতন হবে আগে। আমি আশা করবো এবারের আদমশুমারীতে সংশ্লিষ্ট মহল উদ্দ্যেগ নেবেন এ বিষয়ে।


ডঃ হরিশংকর জলদাশ,
শিক্ষক এবং লেখক
প্রতিবন্ধী মানুষেরা সমাজ বা দেশের বোঝা নয় সম্পদ। একজন পূর্নাঙ্গ মানুষ যদি দেশের মূল ধারায় অবদান রাখতে পারে তবে প্রতিবন্ধী মানুষেরাও অবশ্যই পারবে। আদমশুমারী শুধু মাত্র সংখ্যাগত হিসেবে না রেখে তাদের পূর্ন বিবরণ রাখা উচিৎ বলে মনে করি। দেশের মূল জনশক্তিতে তাঁরা তখনই অবদান রাখার সুযোগ পাবে যখন তাদের প্রতিবন্ধিতার ধরণ আলাদাভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে। তাই আমি আদমশুমারীতে তাঁদের সংখ্যাগত, প্রকারগত এবং পূর্নাঙ্গ বিবরণ বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। এবং এ ব্যাপারে সরকার জোরালো পদক্ষেপ নেবেন আশা করছি।

তপন চক্রবর্তী
ব্যুরো চীফ, বাংলানিউজ ২৪ডট কম
পারিবারিক সচেতনতাই প্রতিবন্ধী শিশুটির জন্য সবচাইতে জরুরী সেই সাথে আমাদের সরকারের বাড়তি সহযোগীতা এবং নজর দেওয়া প্রয়োজন  বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে। এবারের শুমারীতেও বিষয়টি উঠে আসবে আশা করি।


আব্দুল্লাহ -আল -মামুদ
ব্যুরো চীফ, দি ডেইলি সান
আমাদের পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্যের সমকক্ষ ভাবেই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দেখা উচিৎ। কোন ভাবেই প্রতিবন্ধিতার কারণে তাকে আলাদা করে চিন্তা করা ঠিক নয়। এবারের আদমশুমারীতেও বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ।

( টেলিফোন ও ইমেল এর মাধ্যমে সকল বিশিষ্টজনের মতামতগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলোর স্বত্তাধিকারি ঐ ব্যক্তি ও বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক, বি-স্ক্যান )।



মিরপুর স্টেডিয়ামে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা


বাংলাদেশে চলছে বিশ্বকাপ উন্মাদনা। জায়গায় জায়গায় বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা আর ঢাকাকে সাজানো হয়েছে যেন নববধুর রূপে। পরিবর্তন হয়েছে ক্রিকেটের আসল মঞ্চ স্টেডিয়ামগুলোতে। নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক কিছু সেখানে। এবার মিরপুর স্টেডিয়ামে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নর্থ ক্লাবহাউস গ্যালারিতে। গতকাল ৭ মার্চ বি-স্ক্যানের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন সেই ব্যবস্থা দেখতে।













ভেন্যু এ্যাডমিনিস্ট্রেটর কর্নেল (অবঃ) আব্দুল কালাম মোহাম্মদ জাকি ঘুরিয়ে দেখান, কিন্তু দুঃখের বিষয় খেলা চলাকালীন সময় ছাড়া গ্যালারীগুলো খোলা না থাকায় একদম কাছে গিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি যে, ব্যবস্থাটিতে কোন সমস্যা আছে কিনা। জাকি সাহেব বললেন, বিশেষ গ্যালারিতে একসাথে কমপক্ষে ২৫ জন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর খেলা দেখার সুব্যবস্থা রয়েছে। চেয়ারের বদলে সেখানে কার্পেট বিছানো প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে যাতে হুইলচেয়ার নিয়ে বসতে কোন অসুবিধা না হয়। ঐ জায়গা পর্যন্ত যেতে দীর্ঘ র‍্যাম্পের ও টয়লেটের সুব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু কথা হলো এই বিষয়টি কয়জন জানেন? বিশেষ করে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের অবগতির জন্য এই বিষয়টি নিয়ে একটা রিপোর্টিং এর প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গাই যেখানে হুইলচেয়ার বান্ধব নয়, সেখানে এই ব্যবস্থা প্রশংসা ও প্রচারের দাবী রাখে।




তবে এখানে একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারছি না, তাহলো উত্তর ক্লাবহাউসের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নেয়া ব্যবস্থাটি বোঝাতে যে সাইন বোর্ডটি ঝুলানো হয়েছে সেখানে লেখা হয়েছে ‘ডিসেবল স্পেক্টেটরস’ (Disable Spectators, বাক্যটি ভুল, হবে Disabled Spectators)। কিন্তু এই ‘ডিসেবেল্ড’ শব্দটিও একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছে অত্যন্ত আপত্তিকর। এখান সারা বিশ্বে যে কথাটি প্রচার হচ্ছে তা হলো ব্যক্তির আগে তার প্রতিবন্ধিতার কথা বলা যাবে না ‘’Person first, disability last’’। বাংলাদেশে আমাদের জানা মতে এটাই প্রথম কোন বিশাল আয়োজন স্থানে ডিসেবিলিটি লোগোর ব্যবহার দেখা গেল, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নেতিবাচক এই বাক্যটি এখানে ব্যবহার না করলে উদ্যোগটি আরো প্রশংসনীয় হতে পারতো। সাইনবোর্ডে স্পেক্টেটরস উইথ ডিসেবিলিটিজ (Spectators with Disabilities) লেখা হলে যথোপযুক্ত হবে বলে আমরা মনে করি।

লেখাটি পরিবর্তন করতে কর্তৃপক্ষের খুব বেশি আর্থিক খরচ হবে না। তাই বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান)-এর পক্ষ থেকে সাইনবোর্ডের লেখাটি পরিবর্তন করে “Spectators with Disabilities” করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।


ইশারায় চলে ল্যাপটপ

চোখের ইশারায় খুলে যাবে যাবতীয় ফাইল, শোনা যাবে গান এবং দেখা যাবে ছবি। হ্যাঁ, এমনই একটি ল্যাপটপের দেখা মিলেছে জার্মানির হ্যানোভারে তথ্যপ্রযুক্তির মেলা সিবিটে। ব্যবহারকারীরা শুধু চোখ ও মাথা ঘুরিয়ে এই ল্যাপটপ চালাতে পারবে। এ জন্য ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়েছে চোখের ইশারা শনাক্তকরণের একটি বিশেষ প্রযুক্তি। সুইডেনের প্রতিষ্ঠান টোবিল এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। চোখের ইশারা না পেলে ল্যাপটপটি আপনা-আপনি স্ক্রিন সেভার মুডে চলে যাবে। মনিটরের দিকে তাকালেই আবার এটি কাজ করতে শুরু করবে।



টোবিলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা অনন্য একটি প্রযুক্তি। কিবোর্ড আর মাউস তো আমরা অনেক ব্যবহার করেছি। এখন সময় এসেছে নতুন কিছু করার।’ তিনি বলেন, প্রথমে ব্যবহারকারীরা একটু অসুবিধায় পড়লেও ধারণা করা হচ্ছে একসময় চোখের ইশারায় ল্যাপটপ ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। একটি সাধারণ ল্যাপটপে যেভাবে সব কাজ করা যায়, তার সবই করা যাবে নতুন এই ল্যাপটপে। চোখের ইশারা শনাক্তকরণের এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক গাড়িতেও ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। গাড়ির একটি সেন্সর চালকের চোখ দেখে বুঝতে পারে তিনি তন্দ্রালু বা মাতাল কি না। সে অনুযায়ী সেন্সরটি চালককে সতর্ক করে দেয়।
হ্যানোভারে সিবিট মেলা শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। শেষ হবে ৫ মার্চ।

—এএফপি অবলম্বনে রোকেয়া রহমান
সুত্রঃ ০৩-০৩-২০১১, প্রথম আলো।

আগামী আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা নিরুপণ

আগামী ১৫ মার্চ থেকে আদমশুমারী শুরু হতে যাচ্ছে। খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ যে এবার সরকার প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা জানার জন্য প্রশ্ন রাখার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা বের করে আনার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী ফর্মে সংশোধনী আনা দরকার এবং সেটা আগামী ৫ মার্চ ২০১১ গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ শুরু করার আগেই। এদেশের বেশীরভাগ মানুষ তার প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে লুকিয়ে রাখতে চান। তাই সবাই যেন সতস্ফুর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন তার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা দরকার রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রে।

কি ব্যবস্থা হবে ছিন্নমূল মানুষদের ঘরে থাকা প্রতিবন্ধীদের? তাঁরা কি করে নির্ধারণ করবেন একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক বা সেলিব্রাল পালসি?


এই আদমশুমারী সফল হওয়া অত্যন্ত জরুরী প্রতিবন্ধী মানুষের প্রেক্ষাপট থেকে, কারণ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী হবে আগামীদিনের অবকাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্পেশাল স্কুল, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পূনর্বাসন কেন্দ্র, রিসার্চ সেন্টার ইত্যাদি।

কি করে এই আদমশুমারী সফল করা যায় আপনার মুল্যবান মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করুণ?

আদমশুমারির প্রশ্নপত্রেই প্রতিবন্ধীর সংজ্ঞায় ভুল!

Questions on disability included in 2011 census

5th population census begins March 15





 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub