ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বসে বসে মানুষের মুখ আঁকেন পার্থ রায়। বাক্প্রতিবন্ধী এই মানুষটি অন্যের মুখচ্ছবি এঁকেই জীবন চালান। এস এম সুলতানের সাক্ষাত্ ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর নড়াইলের আর্ট স্কুল ‘শিশু স্বর্গে’ বসেই ছবি আঁকা শিখেছেন পার্থ।
চারকোলের পেনসিল দিয়ে সাদা কাগজের মধ্যে ঘষাঘষ রেখা টেনে চলেন একমনে। দেখতে দেখতেই এক সময় বের হয়ে আসে সামনে বসা মানুষটার মুখ। লোকজন সবকিছু ফেলে ভিড় করে দেখে তাঁর এই কাজকর্ম। কাজ শেষে নগদ প্রাপ্তি হয় ভালোই। সেই সঙ্গে বেশ বাহবাও মেলে।
পার্থ রায় লিখে জানালেন, প্রতিটি সাদাকালো ছবির জন্য ২০০ টাকা রাখেন তিনি। আর রঙিন হলে ৪০০ টাকা। মেলায় বসলে সারা দিনে আট-দশজন পাওয়া যায়। বাণিজ্য মেলা শেষ হয়ে গেলে বইমেলা শুরু হবে, তখন তাঁকে দেখা যাবে ওখানেই। আর প্রত্যেক ঈদে তাঁকে পাওয়া যাবে শিশু পার্কের চৌহদ্দীতে।
রথ দেখা, সেই সঙ্গে কলা বেচা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নিয়ে কিছুটা বাড়তি উত্সাহ কাজ করে অনেকের মধ্যেই। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন মেলা দেখতে। ‘দূরত্ব যতই হোক, কাছে থাকুন’ এমন চিন্তা থেকে নরসিংদী থেকে মেলা দেখতে এসেছে দুটি পরিবার। পরিবার-পরিজন নিয়ে সারা দিন ঘোরাফেরা-কেনাকাটা আর হই-হুল্লোড় শেষে মেলা প্রাঙ্গণেই চাদর পেতে বসে পড়লেন তাঁরা। আর সঙ্গে করে আনা ব্যাগ থেকে বের হতে থাকে হরেক রকম খাবার। মেলায় আসা অন্য দর্শনার্থীরা খানিকটা কৌতূহলী হয়ে দেখতে থাকে ব্যাপারটা। লোকজনের এই কৌতূহল দেখে এক পরিবারের কর্তা খানিকটা আয়েশি ভঙ্গিতে বলেই ফেললেন, ‘ভাই, রথ দেখা আর কলা বেচা একই সঙ্গে সেরে ফেললাম।’
তথযসূত্রঃ প্রথম আলো, ১ জানুয়ারী, ২০১০।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-01-24/news/37174
2 মন্তব্য(সমূহ):
Shbash!
Pesha hisebe ononno sadharon mone hochchhe. Lov uki dey mone, aha amio jodi partam emon!Bhalo kono gaan shunleo emon dhhacher onubhooti niotoi hoy amar.
Partho-ke monusso bhashay kotha bolar khomota na dileo bhorie deya hoese ononno protibha die. Prokriti evabei hoyto bharsammo rokkha kore!
Post a Comment