দেশে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখ রিকেট রোগে আক্রান্ত। রিকেট বিষয়ে প্রথম জাতীয় জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিকেট বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ব্র্যাক সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন রিকেটস ইন্টারেস্ট গ্রুপের আহ্বায়ক এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র-বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এস কে রায়। তিনি জানান, দেশের ছয়টি বিভাগের ২০ হাজার শিশুর ওপর ১০ মাস সময় নিয়ে এই জরিপ করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের দশমিক ৯৯ শতাংশ শিশু রিকেটে আক্রান্ত। এদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। এই শিশুদের ৯৮ শতাংশ ভিটামিন ডি এবং ৪৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম ঘাটতিতে ভুগছে। জরিপ অনুযায়ী, ছয়টি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে রিকেট আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রিকেট আক্রান্তদের ৭৬ শতাংশই এই বিভাগে।
রিকেটস ইন্টারেস্ট গ্রুপের তত্ত্বাবধানে (আইসিডিডিআরবি), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), কেয়ার বাংলাদেশ, জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প, সোশ্যাল অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দ্য ফিজিক্যালি ভালনারেবল (এসএআরপিভি), প্ল্যান বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক এ জরিপ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুর দেহে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে রিকেট হয়। এতে শিশুর ওজন কমে, শুকিয়ে যায়, শিশু বয়সের তুলনায় খাটো হয়। অনেক ক্ষেত্রে কবজি ফুলে যায়, কারও পা বেঁকে যায়। কারও বুকের খাঁচার হাড়ে গোটা বের হয় বা কপালের হাড় সামনের দিকে বের হয়ে যায়।
প্রতিকার হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ এবং ছয় মাসের পর যথাযথ পরিপূরক খাবার খাওয়ানো, শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত রোদ লাগানো হলে এ রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সরকারি পর্যায়ে চিকিত্সার ব্যবস্থা না থাকায় রিকেট আক্রান্ত শিশুদের প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন বলেন, জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প সঠিকভাবে চললে ও রিকেটকে গুরুত্ব দিলে এই রোগটি হওয়ারই কথা ছিল না। ইউনিসেফের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান বির্থে লোকাটিলি রছি রিকেট প্রতিরোধে অব্যাহতভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রিকেট সার্জারি চিকিত্সক ক্রেভেরি থাইরি বলেন, রিকেট অস্ত্রোপচার করে ভালো করা সম্ভব। তবে এটি অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল ও শিশুদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো
http://prothom-alo.com/detail/date/2010-01-27/news/37996
গতকাল মঙ্গলবার ব্র্যাক সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন রিকেটস ইন্টারেস্ট গ্রুপের আহ্বায়ক এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র-বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এস কে রায়। তিনি জানান, দেশের ছয়টি বিভাগের ২০ হাজার শিশুর ওপর ১০ মাস সময় নিয়ে এই জরিপ করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের দশমিক ৯৯ শতাংশ শিশু রিকেটে আক্রান্ত। এদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। এই শিশুদের ৯৮ শতাংশ ভিটামিন ডি এবং ৪৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম ঘাটতিতে ভুগছে। জরিপ অনুযায়ী, ছয়টি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে রিকেট আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রিকেট আক্রান্তদের ৭৬ শতাংশই এই বিভাগে।
রিকেটস ইন্টারেস্ট গ্রুপের তত্ত্বাবধানে (আইসিডিডিআরবি), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), কেয়ার বাংলাদেশ, জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প, সোশ্যাল অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দ্য ফিজিক্যালি ভালনারেবল (এসএআরপিভি), প্ল্যান বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক এ জরিপ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুর দেহে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে রিকেট হয়। এতে শিশুর ওজন কমে, শুকিয়ে যায়, শিশু বয়সের তুলনায় খাটো হয়। অনেক ক্ষেত্রে কবজি ফুলে যায়, কারও পা বেঁকে যায়। কারও বুকের খাঁচার হাড়ে গোটা বের হয় বা কপালের হাড় সামনের দিকে বের হয়ে যায়।
প্রতিকার হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ এবং ছয় মাসের পর যথাযথ পরিপূরক খাবার খাওয়ানো, শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত রোদ লাগানো হলে এ রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সরকারি পর্যায়ে চিকিত্সার ব্যবস্থা না থাকায় রিকেট আক্রান্ত শিশুদের প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন বলেন, জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প সঠিকভাবে চললে ও রিকেটকে গুরুত্ব দিলে এই রোগটি হওয়ারই কথা ছিল না। ইউনিসেফের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান বির্থে লোকাটিলি রছি রিকেট প্রতিরোধে অব্যাহতভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রিকেট সার্জারি চিকিত্সক ক্রেভেরি থাইরি বলেন, রিকেট অস্ত্রোপচার করে ভালো করা সম্ভব। তবে এটি অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল ও শিশুদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো
http://prothom-alo.com/detail/date/2010-01-27/news/37996