শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-স্ক্যানের সেমিনার

বাঁ দিক থেকে অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম,অধ্যাপক জায়েদা শারমিন স্বাতী, উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। মাস দুয়েক আগে সকলের সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম বিভিন্ন স্কুল, কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ততার উদ্দ্যেশ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে চায় বি-স্ক্যান। তখনই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের ছাত্র খুরশিদুল আলম হিটু ভাই আগ্রহ প্রকাশ করলেন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারের আয়োজন করে দেওয়ার। তার মধ্যে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ২৩শে জুন’১১ তারিখে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন...

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প

একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে এবারই প্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হলো। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে অনেকেই আছেন যাঁদের অবস্থা এতো খারাপ নয় যে তারা আর্থিক সহযোগিতা নেবেন, কিন্তু কিছু টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেলে তারা একটা শুরু কিছু করতে পারেন। সাভারের মৃদু বাক প্রতিবন্ধী এ এম রিয়াদ তাঁদেরই একজন যিনি মাশরুমের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং তার মাশরুম চাষের প্রতি রয়েছে অদম্য আগ্রহ। এমনিতে সে সাভারের সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহেবিলিটেশেন ফর দ্যা প্যারালাইজড) ও তার আশেপাশের এলাকায় মাশরুম সরবরাহ করে থাকেন। পাইকারী দামে মাশরুম কিনে কিছু লাভে বিক্রি করেন। মাশরুম চাষের ট্রেনিংও নিয়েছেন এবং এডব্লিউডিপি (এসোসিয়েশেন অর দ্যা ওয়েলফেয়ার ফর দ্যা ডিজেবেল্ড পিপল) থেকে একটি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁর...

একটি সুসংবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

আমরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন করার আগ্রহ প্রকাশ করছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই। সাড়াও পাচ্ছিলাম বেশ। অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের পরিচিত স্কুল কলেজে সেমিনারের আয়োজন করে দিতে। খুশি মনেই সাড়া দিলাম আমরাও। কিন্তু প্রথম স্কুলে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি  হলাম তা হলো কয়েকটি প্রাইভেট ইউনিভারসিটি ছাড়া বেশিরভাগ স্কুল, কলেজেই প্রেজেন্টেশনের কোন ব্যবস্থা নেই।  প্রতিবন্ধী শিশুদের একীভূত শিক্ষার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বোঝাতে যে প্রেজেন্টেশনটি করা প্রয়োজন তার জন্যে প্রতিবার প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করার মতো অবস্থা আমাদের এই ছোট্ট সংগঠনের নেই। এই পোষ্টের  মাধ্যমে সহযোগীতা চেয়েছিলাম আমরা।   অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, স্কুল,...

নীলফামারীর শফিউলকে হুইলচেয়ার প্রদান

  শফিউল ইসলাম, জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, পরে ধীরে ধীরে চলন ও বাক প্রতিবন্ধিতা দেখা দেয় তার মাঝে। প্রথমে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মোশারফ সাহেব, পরে তার মাধ্যমে নীলফামারী জেলার 'রঙপুর সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (RDSS)' কাছে থেকে আমরা ছেলেটির কথা জানতে পারি। ছেলেটির পরিবার খুবই গরীব, বাবা দিনমুজুরী করে সংসার চালান, নিজেদের থাকার কোন জায়গাও নেই। শফিউলের চলাচলের জন্য একটি হুইলচেয়ার ভীষণ প্রয়োজন যা কেনার সাধ্য তার পরিবারের নেই। রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সেন্টালের সাথে যোগাযোগ করা হলে ১৬ এপ্রিল, ২০১১ তাঁরা আমাদের একটি হুইলচেয়ার কেনার জন্য  অর্থ প্রদান করেন। আমরা চেয়ারটি কিনে এস এ পরিবহনের মাধ্যমে RDSS এর কাছে পাঠিয়ে দেই, তাঁরা গত ২৩ মে, ২০১১ তারিখে চেয়ারটি শফিউলের পরিবারের হাতে হস্তান্তর করেন। শফিউলের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। ...

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জন্য প্রযুক্তি

দৃষ্টিহীনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তৈরি হয়েছে নানা প্রযুক্তি। প্রযুক্তির সহায়তায় এখন অনেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নিজেকে আলোকিত করতে সমর্থ হচ্ছেন। লিখেছেন তুহিন মাহমুদ।     প্রতিবন্ধীদের সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। আর এরই ফলশ্রুতিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি হয়েছে ব্রেইল সফটওয়্যার, স্ক্রিনরিডিং সফটওয়্যার মঙ্গলদীপ, টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার সুবচন, এসএমএস রিডার প্রভৃতি।   ব্রেইল :ব্রেইল হলো অন্ধ ও যারা চোখে কম দেখে তাদের জন্য পড়ালেখার একটি মাধ্যম। ১৮২১ সালে লুই ব্রেইল নামের ফ্রান্সের একজন প্রতিবন্ধী এটি উদ্ভাবন করেন। ব্রেইলকে পরবর্তী সময় কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের...

নীরব স্তবনে তারুণ্যের বন্দনাগান ছড়ায় প্রভাত পবনে

"বেজে উঠো - ফড়িঙের রঙে, দোয়েলের জীবনে...দুর্জয় তারুণ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধে" এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। গত ১২, ১৩, ১৪ই মে’১১ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাথে নিয়ে জমজমাট এক তারুণ্য উৎসবের আয়োজন করেছিলো চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি। জীবনে কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা মাড়ানো হবে ভাবিনি। নিতান্ত কাকতালীয়ভাবেই সেদিন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের এই উৎসবে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে গেলাম।                                      ইদানিং ব্যস্ততার চাপ এতো বেড়েছে যে ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়ানোর সময় একেবারেই হয়ে উঠছে না। কম্পিউটারে বসা মানেই...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub