সম্প্রতি এসএসসি তে ফাল্গু্নী সাহার অভাবনীয় সাফল্য আমাদের মাঝে অন্য রকম এক ভালো লাগা আশা ও সামনের দিকে চলার অভ্যুদয় এনে দিয়েছে। অসম্ভব মনের জোরের অধিকারী এই মেয়েটি দু'হাতের কবজি দিয়ে লিখে জিপিএ ৫ পেয়েছে এবার (পটুয়াখালী শহরের গলাচিপা মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ফাল্গুনী ছোটবেলায় একটি দুর্ঘটনায় দু’হাতের কবজি হারায়)। সেই সাথে আরো ভালো লেগেছিলো এও জেনে যে পরেরদিনই তার এই সাফল্যের খবর চারপাশে ছড়িয়ে দিতে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রিন্ট মিডিয়া। কিন্তু এই ভালো লাগা পরক্ষনেই উলটে গিয়েছে যখন সংবাদ মাধ্যমগুলোর সংবাদের মাঝে সত্যতার পরিবর্তে বিভ্রান্তি প্রকাশ পেয়েছে।
দেশের স্বনামধন্য দুটি দৈনিক ফাল্গুনিকে নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তাকে কোনভাবেই দ্বায়িত্বশীল সাংবাদিকের সংবাদ পরিবেশন বলা যাচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে জানা যায় ফাল্গু্নী সাহার পরিবারের আর্থিক অবস্থার সীমাবদ্ধতা তার পড়াশুনা চালিয়ে নেবার পথে অন্তরায় এরপরেই দেয়া আছে সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য । কেননা ফাল্গুনি সাহার পড়াশোনার ব্যয় ভার বহন করতে জানুয়ারি' ২০১১ থেকে এগিয়ে আসে বি-স্ক্যান এবং আগামীতেও তার পাশে থাকার আশ্বাসে আরো দৃঢ়তার সাথেই নিয়োজিত ।
এই ঘটনার পর পর-ই আমরা ফাল্গুনির বাবার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি, শুধুমাত্র মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল জানতেই সাংবাদিক আসেন তার বাড়িতে। এর বাইরে কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি তার কাছে।
দেশের স্বনামধন্য দুটি দৈনিক ফাল্গুনিকে নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তাকে কোনভাবেই দ্বায়িত্বশীল সাংবাদিকের সংবাদ পরিবেশন বলা যাচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে জানা যায় ফাল্গু্নী সাহার পরিবারের আর্থিক অবস্থার সীমাবদ্ধতা তার পড়াশুনা চালিয়ে নেবার পথে অন্তরায় এরপরেই দেয়া আছে সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য । কেননা ফাল্গুনি সাহার পড়াশোনার ব্যয় ভার বহন করতে জানুয়ারি' ২০১১ থেকে এগিয়ে আসে বি-স্ক্যান এবং আগামীতেও তার পাশে থাকার আশ্বাসে আরো দৃঢ়তার সাথেই নিয়োজিত ।
এই ঘটনার পর পর-ই আমরা ফাল্গুনির বাবার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি, শুধুমাত্র মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল জানতেই সাংবাদিক আসেন তার বাড়িতে। এর বাইরে কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি তার কাছে।
পাঠক মাত্রই সংবাদ মাধ্যমের সত্যতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহনযোগ্যতা আশা করে। আমরাও এর বাইরে নই । ব্যক্তিগত নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশের কোন সীমাবদ্ধতা যদি থেকেও থাকে তথাপিও ফাল্গু্নী সাহার পড়াশোনার অনিশ্চয়তার বক্তব্যটি সম্পুর্নভাবেই ভুল তথ্য প্রচার যা বিভ্রান্তির জন্ম দেয়।
আমরা সংবাদ মাধ্যমগুলোর বস্তুনিষ্ঠতা ও সামাজিক দ্বায়িত্বে্র পরিচয়বাহী সংবাদ আশা করি। সেই সাথে আবারো দৃঢ়ভাবে বলতে চাই। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোন সামাজিক বোঝা নয় বরং মানসিক প্রতিবন্ধকতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অন্তরায় এক কুপমন্ডুক সমাজ ব্যবস্থা। ফাল্গু্নী সাহা কিংবা আর যে কোন শিশুর পাশে আমরা দাঁড়াবো আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ নিয়েই কেননা আজকের শিশুরাই আগামীর সমাজে বয়ে আনবে প্রগতি। ফাল্গু্নী সাহার পড়াশুনার ব্যয়ভার আমরা নিশ্চিত করেছি এবং আগামীতেও তার পাশেই আমরা আছি ।
আরো কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। ফাল্গুনীর পড়ার খরচ বাবদ তাঁদের দ্বারা নির্ধারিত মাসিক খরচ ২০০০ টাকা হিসেবে প্রতি তিন মাসের টাকা একসাথে ৬০০০ টাকার একটি চেক ফাল্গুনির বাবা জগদিশ চন্দ্র বসুর হাতে তুলে দেয়া হয় গত ৮ ডিসেম্বর, ২০১০ এবং বলা হয় আগামী এক বছর (মানে পুরো ২০১১) ফাল্গুনির লেখাপড়ার খরচ আমরাই দেবো এবং সে যদি ভাল রেজাল্ট করে তাহলে পরবর্তী দায়িত্বও আমাদের। সেখানে ফাল্গুনির স্কুলের প্রধান শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। প্রতি তিন মাস অন্তর আমরা এই টাকা পাঠিয়ে যাচ্ছি।
বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে ফাল্গুনির হাতে চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। |
গলাচিপার স্থানীয় পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়েছিল। |
প্রথমবার জানুয়ারী’ ২০১১ থেকে মার্চ ২০১১ পর্যন্ত ছয় হাজার টাকার চেক প্রদান। |
দ্বিতীয়বার টিটির মাধ্যমে এপ্রিল ২০১১ থেকে জুন ২০১১ পর্যন্ত তিন মাসের টাকা পাঠানো হয়েছে। |
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment