জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফোরাম (এনএফওডব্লিউডি) এর সহ-সভাপতি, এশোশিয়েশন ফর দ্য ওয়েল ফেয়ার অব দি ডিজএ্যাবল্ড পিপল (এডব্লিউডিপি) এর সেক্রেটারী,বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি (বিপিকেএস) এর সাবেক সহকারী পরিচালক বিশিষ্ট প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক উন্নয়নকর্মী, গবেষক এবং অনুবাদক জনাব মোঃ মাহবুবুল আশরাফ গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৫:৫০ টায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নালিল্লাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
তিনি দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ লিভার সিরোসিস এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। কর্মজীবনে তিনি ভলান্টারি হেলথ সার্ভিসেস সোসাইটি (ভিএইচএসএস), বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি (বিপিকেএস), জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফোরামসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে ৩টি গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তাঁর মধ্যে ইউএন এসকাপ কর্তৃক গৃহীত এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দশক, ২০০৩-২০১২ ‘বিওয়াকো মিলেনিয়াম ফ্রেমওয়ার্ক ফর একশন-এর প্রাথমিক অনুবাদ অন্যতম। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য ভিত্তিক মাসিক সাময়িকী ‘স্পন্দন’ তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। তিনি বহু গুণগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুখ দুঃখের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি একাধারে পরোপকারী, সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। দেশের সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একত্রিত করার জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন মোঃ মাহবুবুল আশরাফ ভাই। পারিবারিক এবং বন্ধুদের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি পিঠের টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা হয়। ফলে আজীবনের জন্য চলার গতি হারিয়ে ফেলে। নিত্য দিনের সঙ্গি হিসেবে হুইলচেয়ারকে নিতে হয় তাঁকে। তিন চার মাস আগে হঠাৎ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। গতকাল চিকিৎসাধানী অবস্থায় পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ওনাকে একনজর দেখার জন্য বন্ধু-বান্ধব, সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং আত্মীয় স্বজণরা হাসপাতালে ভিড় জমায়। সকলের আহাজারীতে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। জাতি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতাকে অকালে হারাল। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ ওনাকে বেহেস্তবাসী করুন।
সূত্রঃ ৬ সেপ্টেম্বর, আজমাল হোসেন মামুন, সোনার বাংলাদেশের ব্লগ
http://www.sonarbangladesh.com/blog/blind10/5585
তিনি দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ লিভার সিরোসিস এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। কর্মজীবনে তিনি ভলান্টারি হেলথ সার্ভিসেস সোসাইটি (ভিএইচএসএস), বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি (বিপিকেএস), জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফোরামসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে ৩টি গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তাঁর মধ্যে ইউএন এসকাপ কর্তৃক গৃহীত এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দশক, ২০০৩-২০১২ ‘বিওয়াকো মিলেনিয়াম ফ্রেমওয়ার্ক ফর একশন-এর প্রাথমিক অনুবাদ অন্যতম। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য ভিত্তিক মাসিক সাময়িকী ‘স্পন্দন’ তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। তিনি বহু গুণগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুখ দুঃখের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি একাধারে পরোপকারী, সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। দেশের সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একত্রিত করার জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন মোঃ মাহবুবুল আশরাফ ভাই। পারিবারিক এবং বন্ধুদের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি পিঠের টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা হয়। ফলে আজীবনের জন্য চলার গতি হারিয়ে ফেলে। নিত্য দিনের সঙ্গি হিসেবে হুইলচেয়ারকে নিতে হয় তাঁকে। তিন চার মাস আগে হঠাৎ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। গতকাল চিকিৎসাধানী অবস্থায় পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ওনাকে একনজর দেখার জন্য বন্ধু-বান্ধব, সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং আত্মীয় স্বজণরা হাসপাতালে ভিড় জমায়। সকলের আহাজারীতে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। জাতি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতাকে অকালে হারাল। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ ওনাকে বেহেস্তবাসী করুন।
সূত্রঃ ৬ সেপ্টেম্বর, আজমাল হোসেন মামুন, সোনার বাংলাদেশের ব্লগ
http://www.sonarbangladesh.com/blog/blind10/5585
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment