কোনো কারণে অচল হয়ে গেছে কারও পা। হাঁটাচলা একদম বন্ধ। চিকিৎসকের কাছে বারবার দৌড়েও লাভ হয়নি। এমন অক্ষম ব্যক্তির জন্য যন্ত্রের পা উদ্ভাবন করেছেন নিউজিল্যান্ডের দুই উদ্ভাবক। এই পা দিয়ে হাঁটতে অক্ষম ব্যক্তি দিব্যি স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাচল করতে পারবে। এই উদ্ভাবকেরা হলেন রিচার্ড লিটল ও রবার্ট আরভিং। তাঁদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম রোবটিক পা।
গত বৃহস্পতিবার এই যান্ত্রিক পায়ের (বায়োনিক লেগ) কেরামতি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে পরীক্ষা করা হয়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হাইডেন অ্যালেন যন্ত্রের পা দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান।
অ্যালেন বলেন, চিকিৎসকেরা পাঁচ বছর আগে তাঁকে বলেছিলেন তিনি আর হাঁটতে পারবেন না। সামাজিকভাবে অনেক বড় উপকারে আসবে এই উদ্ভাবন। তিনি বলেন, ‘এই যান্ত্রিক পায়ের মাধ্যমে হাঁটার অভিজ্ঞতা চমৎকার। মনে হয়েছে, যেন স্বাভাবিকভাবেই হাঁটছি।’
নব্বইয়ের দশকে স্কটল্যান্ড থেকে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী হিসেবে আসেন রিচার্ড লিটল ও রবার্ট আরভিং। তাঁরা বলেন, সাত বছর আগে এ ধরনের পা উদ্ভাবনের ভাবনা তাঁদের মাথায় আসে। এই পা তৈরিতে তাঁদের এক কোটি ডলার খরচ হয়েছে।
নিজস্ব ওয়েবসাইট রেক্সবায়োনিকস ডটকমে উদ্ভাবকেরা বলেন, অ্যালিয়েন নামের চলচ্চিত্র থেকে রেক্স নামের এই যান্ত্রিক পা তৈরির ধারণা পান তাঁরা। ৩৮ কেজি ওজনের এই পা জয়স্টিকের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হুইলচেয়ারের একটি ভালো বিকল্প হতে পারে এই রেক্স। এর মাধ্যমে তারা হাঁটা, বসা, সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করা, দাঁড়ানো, সামনে আগানো ও পেছানোর মতো শারীরিক কাজ করতে পারবে।
তবে এই যান্ত্রিক পায়ের জন্য বেশ ভালো দামই দিতে হবে। রেক্সের দাম ধরা হয়েছে দেড় লাখ ডলার। শুধু নিউজিল্যান্ডেই এই পা পাওয়া যাচ্ছে। উদ্ভাবকেরা জানান, তাঁদের আশা আগামী বছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া পাবে এই যান্ত্রিক পা। এএফপি।
সুত্রঃ ১৭ জুলাই, ২০১০, প্রথম আলো।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-17/news/79216
গত বৃহস্পতিবার এই যান্ত্রিক পায়ের (বায়োনিক লেগ) কেরামতি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে পরীক্ষা করা হয়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হাইডেন অ্যালেন যন্ত্রের পা দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান।
অ্যালেন বলেন, চিকিৎসকেরা পাঁচ বছর আগে তাঁকে বলেছিলেন তিনি আর হাঁটতে পারবেন না। সামাজিকভাবে অনেক বড় উপকারে আসবে এই উদ্ভাবন। তিনি বলেন, ‘এই যান্ত্রিক পায়ের মাধ্যমে হাঁটার অভিজ্ঞতা চমৎকার। মনে হয়েছে, যেন স্বাভাবিকভাবেই হাঁটছি।’
নব্বইয়ের দশকে স্কটল্যান্ড থেকে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী হিসেবে আসেন রিচার্ড লিটল ও রবার্ট আরভিং। তাঁরা বলেন, সাত বছর আগে এ ধরনের পা উদ্ভাবনের ভাবনা তাঁদের মাথায় আসে। এই পা তৈরিতে তাঁদের এক কোটি ডলার খরচ হয়েছে।
নিজস্ব ওয়েবসাইট রেক্সবায়োনিকস ডটকমে উদ্ভাবকেরা বলেন, অ্যালিয়েন নামের চলচ্চিত্র থেকে রেক্স নামের এই যান্ত্রিক পা তৈরির ধারণা পান তাঁরা। ৩৮ কেজি ওজনের এই পা জয়স্টিকের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হুইলচেয়ারের একটি ভালো বিকল্প হতে পারে এই রেক্স। এর মাধ্যমে তারা হাঁটা, বসা, সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করা, দাঁড়ানো, সামনে আগানো ও পেছানোর মতো শারীরিক কাজ করতে পারবে।
তবে এই যান্ত্রিক পায়ের জন্য বেশ ভালো দামই দিতে হবে। রেক্সের দাম ধরা হয়েছে দেড় লাখ ডলার। শুধু নিউজিল্যান্ডেই এই পা পাওয়া যাচ্ছে। উদ্ভাবকেরা জানান, তাঁদের আশা আগামী বছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া পাবে এই যান্ত্রিক পা। এএফপি।
সুত্রঃ ১৭ জুলাই, ২০১০, প্রথম আলো।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-17/news/79216
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment