এক অনন্য বিদ্যানিকেতনের কথা

শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চট্টগ্রামে অবস্থিত" চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজ"। দূরারোগ্য "মাসকুলার ডিসট্রফি"তে আক্রান্ত বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিন সুলতানার পক্ষে স্কুলের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠা সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল গত বছর । শিক্ষাঙ্গনের মহানুভব অধ্যক্ষ তাসনিনের শিক্ষাজীবন মসৃণ রাখতে প্রথমে ২০০৯ এর শুরুতে সপ্তম শ্রেণীকক্ষটি দোতলা থেকে নিচতলায় টয়লেট সংলগ্ন একটি শ্রেণীকক্ষে নামিয়ে আনেন । পরে আবারো তিনি এ বছর শুধুমাত্র তাসনিনের কথা চিন্তা করেই অষ্টম শ্রেণীকক্ষটিও নিচতলায় নামিয়ে এনেছেন । গত ১৩ই জানুয়ারী' ২০১০ তারিখে "তাসনীনের শ্রেণীকক্ষ" শিরোনামে কালের কন্ঠে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ছাপা হয়েছিলো । আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান'র পক্ষ থেকে এই প্রশংশনীয়...

বি-স্ক্যান এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

আজ বি-স্ক্যান এর জন্মদিন। এক বছর আগে এইদিনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে অনলাইন এ্যাডভোকেসি শুরু করেছিলাম আমরা ক'জন। তারপর বহু মানুষ আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন, প্রেরণা দিয়েছেন, আমাদের মাঠ পর্যায় কাজ করার উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাদের সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।  বর্তমানে বি-স্ক্যানের যতটুকু পরিচিতি তার পিছনে যাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশী তাঁদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে চাই, একজন হলেন  জনাব, মাহবুবুল আশরাফ, এ্যাসোসিয়েশেন ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দ্য ডিসেবল্ড পিপল (AWDP) সেক্রেটারী ও সমন্বয়কারী এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট,  শত ব্যস্ততার মাঝেও যিনি আমাদের সবসময় দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছেন এবং অপরজন ডা. শুভাগত চৌধুরী, পরিচালক, লেব্রোটারী সার্ভিসেস, বারডেম। আমরা তাঁদের কাছে চীরকৃতজ্ঞ। দীর্ঘ এক বছরে আমরা...

Paralyzed man walks again with bionic legs

It may only permit users to take baby steps, but a newly developed set of bionic legs represents a giant step forward in treatment for paralytics. Dubbed Rex, the revolutionary new invention lets wearers stand, walk, and even go up and down slopes and steps, according to the Daily Mail.The robotized exoskeleton is being tested in New Zealand and may have a preliminary release in Auckland later this year, according to Jenny Morel, CEO of Rex Bionics. By the middle of 2011, Rex may be sold in other parts of the world. Rex allowed Hayden Allen, who injured his spinal cord in a motorbike accident some five years ago and was told he’d never walk again, to do just that. As one of the first people ever to use Rex, Allen, a mechanic, spoke of how...

সচল হলো অচল পা

কোনো কারণে অচল হয়ে গেছে কারও পা। হাঁটাচলা একদম বন্ধ। চিকিৎসকের কাছে বারবার দৌড়েও লাভ হয়নি। এমন অক্ষম ব্যক্তির জন্য যন্ত্রের পা উদ্ভাবন করেছেন নিউজিল্যান্ডের দুই উদ্ভাবক। এই পা দিয়ে হাঁটতে অক্ষম ব্যক্তি দিব্যি স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাচল করতে পারবে। এই উদ্ভাবকেরা হলেন রিচার্ড লিটল ও রবার্ট আরভিং। তাঁদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম রোবটিক পা। গত বৃহস্পতিবার এই যান্ত্রিক পায়ের (বায়োনিক লেগ) কেরামতি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে পরীক্ষা করা হয়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হাইডেন অ্যালেন যন্ত্রের পা দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান। অ্যালেন বলেন, চিকিৎসকেরা পাঁচ বছর আগে তাঁকে বলেছিলেন তিনি আর হাঁটতে পারবেন না। সামাজিকভাবে অনেক বড় উপকারে আসবে এই উদ্ভাবন। তিনি বলেন, ‘এই যান্ত্রিক পায়ের মাধ্যমে হাঁটার অভিজ্ঞতা চমৎকার। মনে হয়েছে, যেন স্বাভাবিকভাবেই হাঁটছি।’ নব্বইয়ের...

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর কলম থেকে পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। | তারিখ: ১৪-০৭-২০১০ যাঁরা দুর্ভাগ্যক্রমে প্রতিবন্ধী, তাঁদের আপন করে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের মতো তাঁদের ইচ্ছে হয় লেখাপড়া করার, অফিস-আদালতে কাজ করার, আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার। তাঁদের মধ্যে যে শক্তি আছে, এর পূর্ণ ব্যবহার করার অধিকার তাঁরা চান। এ তো খুব সংগত কথা। আমরা যদি একটু তাঁদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তাঁরা নিজেদের শক্তিতেই উঠে দাঁড়াবেন। সমবেদনা নয়, সহমর্মিতা তাঁদের প্রয়োজন। যাঁরা আমাদের মতো মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারেন না, হুইল চেয়ারে বসে চলেন, তাঁদের অনেকে তুখোড় মানুষ। শহরে-নগরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবনে প্রবেশের জন্য তাঁদের র‌্যাম্প; আর হুইল চেয়ার যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রয়োজন একটি বিশেষ টয়লেট। অথচ...

বি-স্ক্যান এর সফল একটি উদ্যোগ

আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে কিছুদিন আগে আমরা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দুইজন প্রতিবন্ধী বোনকে হুইলচেয়ার প্রদান করেছিলাম,এবার তাদের বাবা ওয়াজেদ মিয়ার জন্য ৩০০০০ টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি, উদ্দেশ্য তার সংসারটি যেন ঠিক মত চলে এবং যে অদম্য উৎসাহ নিয়ে মেয়ে দু’টি লেখাপড়া করছে তা যেন বন্ধ হয়ে না যায়। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ‘আমারব্লগ’ এর সম্মানিত কিছু ব্লগার ও বি-স্ক্যান সদস্যদের সহায়তায় এই টাকাগুলো সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছি। টাকার পরিমান যেহেতু অনেক তাই আমরা একটি মনিটরিং/ তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছি। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ও ঘোড়াঘাটের সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে এই কাজটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা থাকলে একদিকে ওয়াজেদ মিয়া যেমন টাকাগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারবেন না তেমনি অন্যদিকে তিনি যদি ঠিক মত টাকাগুলো কাজে লাগান...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub