শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চট্টগ্রামে অবস্থিত" চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজ"।
দূরারোগ্য "মাসকুলার ডিসট্রফি"তে আক্রান্ত বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিন সুলতানার পক্ষে স্কুলের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠা সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল গত বছর । শিক্ষাঙ্গনের মহানুভব অধ্যক্ষ তাসনিনের শিক্ষাজীবন মসৃণ রাখতে প্রথমে ২০০৯ এর শুরুতে সপ্তম শ্রেণীকক্ষটি দোতলা থেকে নিচতলায় টয়লেট সংলগ্ন একটি শ্রেণীকক্ষে নামিয়ে আনেন । পরে আবারো তিনি এ বছর শুধুমাত্র তাসনিনের কথা চিন্তা করেই অষ্টম শ্রেণীকক্ষটিও নিচতলায় নামিয়ে এনেছেন । গত ১৩ই জানুয়ারী' ২০১০ তারিখে "তাসনীনের শ্রেণীকক্ষ" শিরোনামে কালের কন্ঠে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ছাপা হয়েছিলো ।
আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান'র পক্ষ থেকে এই প্রশংশনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানাই । অভিনন্দন জানাই চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজকে ।
আমাদের আশা, দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষার পথ সুগম করবে ।
অনন্য এই অবদান রাখায় স্কুলটিকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রশংসাপত্র দেবার কথা হয়েছিল । এ উপলক্ষে গত ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে বি-স্ক্যানের পক্ষ থেকে আমি গিয়েছিলাম স্কুলটিতে । দেখে এলাম তাসনিনের শ্রেণীকক্ষটিও । শুধু মাত্র একটি সমস্যা স্কুলটির নিচতলায় ওঠার পথে দু'ধাপ সিড়ি আমার হুইলচেয়ারকে আটকে দিলো । দেশের অন্যান্য স্কুলের মতই এখানেও নেই হুইলচেয়ার সহজেই প্রবেশের ঢালু পথ বা র্যাম্প । উল্লেখ্য যে তাসনিনের এখনো পর্যন্ত হুইলচেয়ার প্রয়োজন হয়না । সে নিজেই হেঁটে সিড়ির ধাপ পেরুতে পারে । যাই হোক, দু'জনের সাহায্যে আমি সিড়ির ধাপ পেরিয়ে এলাম । তবে অদূর ভবিষ্যতে আমার মতো সমস্যায় হয়তো তাসনিন কিংবা অন্য কাউকে পড়তে হবে ।
স্কুলটির অধ্যক্ষ জানালেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করেছি মাত্র । আর তাছাড়া ছাত্রীটি খুবই সম্ভাবনাময়। তার লেখাপড়া যাতে অব্যাহত থাকে, সে জন্য আমরা সহায়তার চেষ্টা করেছি l আমি মনে করি, তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী বলা ঠিক না। তারা অন্য রকমভাবে সক্ষম।"
স্কুলটির অন্যান্য শিক্ষক -শিক্ষীকাবৃন্দের উপস্থিতিতে মাননীয় অধ্যক্ষ রওশন আরা ইয়াসিনের হাতে প্রশংশাপত্রটি তুলে দেওয়া হয় । সে সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক পূর্বকোন কর্মরত সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ হায়দার ।
লেখকঃ সাবরিনা সুলতানা, ২৫ জুলাই, ২০১০।
দূরারোগ্য "মাসকুলার ডিসট্রফি"তে আক্রান্ত বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিন সুলতানার পক্ষে স্কুলের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠা সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল গত বছর । শিক্ষাঙ্গনের মহানুভব অধ্যক্ষ তাসনিনের শিক্ষাজীবন মসৃণ রাখতে প্রথমে ২০০৯ এর শুরুতে সপ্তম শ্রেণীকক্ষটি দোতলা থেকে নিচতলায় টয়লেট সংলগ্ন একটি শ্রেণীকক্ষে নামিয়ে আনেন । পরে আবারো তিনি এ বছর শুধুমাত্র তাসনিনের কথা চিন্তা করেই অষ্টম শ্রেণীকক্ষটিও নিচতলায় নামিয়ে এনেছেন । গত ১৩ই জানুয়ারী' ২০১০ তারিখে "তাসনীনের শ্রেণীকক্ষ" শিরোনামে কালের কন্ঠে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ছাপা হয়েছিলো ।
আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান'র পক্ষ থেকে এই প্রশংশনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানাই । অভিনন্দন জানাই চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজকে ।
আমাদের আশা, দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষার পথ সুগম করবে ।
অনন্য এই অবদান রাখায় স্কুলটিকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রশংসাপত্র দেবার কথা হয়েছিল । এ উপলক্ষে গত ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে বি-স্ক্যানের পক্ষ থেকে আমি গিয়েছিলাম স্কুলটিতে । দেখে এলাম তাসনিনের শ্রেণীকক্ষটিও । শুধু মাত্র একটি সমস্যা স্কুলটির নিচতলায় ওঠার পথে দু'ধাপ সিড়ি আমার হুইলচেয়ারকে আটকে দিলো । দেশের অন্যান্য স্কুলের মতই এখানেও নেই হুইলচেয়ার সহজেই প্রবেশের ঢালু পথ বা র্যাম্প । উল্লেখ্য যে তাসনিনের এখনো পর্যন্ত হুইলচেয়ার প্রয়োজন হয়না । সে নিজেই হেঁটে সিড়ির ধাপ পেরুতে পারে । যাই হোক, দু'জনের সাহায্যে আমি সিড়ির ধাপ পেরিয়ে এলাম । তবে অদূর ভবিষ্যতে আমার মতো সমস্যায় হয়তো তাসনিন কিংবা অন্য কাউকে পড়তে হবে ।
স্কুলটির অধ্যক্ষ জানালেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করেছি মাত্র । আর তাছাড়া ছাত্রীটি খুবই সম্ভাবনাময়। তার লেখাপড়া যাতে অব্যাহত থাকে, সে জন্য আমরা সহায়তার চেষ্টা করেছি l আমি মনে করি, তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী বলা ঠিক না। তারা অন্য রকমভাবে সক্ষম।"
স্কুলটির অন্যান্য শিক্ষক -শিক্ষীকাবৃন্দের উপস্থিতিতে মাননীয় অধ্যক্ষ রওশন আরা ইয়াসিনের হাতে প্রশংশাপত্রটি তুলে দেওয়া হয় । সে সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক পূর্বকোন কর্মরত সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ হায়দার ।
লেখকঃ সাবরিনা সুলতানা, ২৫ জুলাই, ২০১০।