তার বয়স মাত্র ১০ বছর। এ বয়সেই স্কুলপড়ুয়া আলেক্সিয়া স্লোয়েন চারটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছে। এসব ভাষায় সে অনর্গল কথা বলতে পারে। চমক আরও আছে। ১০ বছরের এ মেয়েটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দোভাষী হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু আর স্বাভাবিক দশটা মেয়ের মতো নয় স্লোয়েন। সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
ইংল্যান্ডের ক্যামব্র্রিজ শহরের বাসিন্দা আলেক্সিয়া। তার বাবা রিচার্ড ইংরেজ, মা ইসাবেলা আধা ফরাসি ও আধা স্প্যানিশ। মা-বাবার সুবাদে শিশু বয়সে ঘরেই সে ইংরেজি, ফরাসি ও স্প্যানিশ এই তিন ভাষার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। পরে সে ম্যান্ডারিন ভাষা শেখে। এখন শিখছে জার্মান ভাষা।
মা ইসাবেলা জানান, ‘আলেক্সিয়া তখন দুই বছরে পা দিয়েছে। আমরা ছুটি কাটাতে ফ্রান্সে গিয়েছি। সেখানে ওর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। তখনই চোখের আলো নিভে যায়। হলে হবে কী, মনের আলোয় সে সবকিছু দেখার পণ করে। ভাষা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। ছয় বছর বয়সে সে ইয়াং অ্যাচিভার কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড জয় করে। তখন থেকেই সে ইইউর দোভাষী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ১০ বছরে বয়সে এসে স্বপ্ন পূরণ হলো ওর। এটা সত্যি বিস্ময়কর ঘটনা।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী দোভাষী হতে হলে ন্যূনতম ১৪ বছর বয়সী হতে হয়। এই বাধ্যবাধকতার কারণে ওই পার্লামেন্টে ছায়া দোভাষীর কাজ করার আবেদন জানায় আলেক্সিয়া। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত ব্রিটিশ সদস্য রবার্ট স্টারডি এ আবেদনে সাড়া দেন। তিনি আলেক্সিয়াকে তাঁর অতিথি হিসেবে পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে সম্মত হন। এভাবেই আলেক্সিয়ার স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হয়।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে দিয়ে আলেক্সিয়া বলে, ‘এটা সত্যি একটা চমৎকার ব্যাপার। কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমাকে আর দমাতে পারবে না।’ অরেঞ্জ অনলাইন।
তথ্যসূত্রঃ ১৭ এপ্রিল, ২০১১, প্রথম আলো।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-17/news/147129
ইংল্যান্ডের ক্যামব্র্রিজ শহরের বাসিন্দা আলেক্সিয়া। তার বাবা রিচার্ড ইংরেজ, মা ইসাবেলা আধা ফরাসি ও আধা স্প্যানিশ। মা-বাবার সুবাদে শিশু বয়সে ঘরেই সে ইংরেজি, ফরাসি ও স্প্যানিশ এই তিন ভাষার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। পরে সে ম্যান্ডারিন ভাষা শেখে। এখন শিখছে জার্মান ভাষা।
মা ইসাবেলা জানান, ‘আলেক্সিয়া তখন দুই বছরে পা দিয়েছে। আমরা ছুটি কাটাতে ফ্রান্সে গিয়েছি। সেখানে ওর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। তখনই চোখের আলো নিভে যায়। হলে হবে কী, মনের আলোয় সে সবকিছু দেখার পণ করে। ভাষা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। ছয় বছর বয়সে সে ইয়াং অ্যাচিভার কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড জয় করে। তখন থেকেই সে ইইউর দোভাষী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ১০ বছরে বয়সে এসে স্বপ্ন পূরণ হলো ওর। এটা সত্যি বিস্ময়কর ঘটনা।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী দোভাষী হতে হলে ন্যূনতম ১৪ বছর বয়সী হতে হয়। এই বাধ্যবাধকতার কারণে ওই পার্লামেন্টে ছায়া দোভাষীর কাজ করার আবেদন জানায় আলেক্সিয়া। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত ব্রিটিশ সদস্য রবার্ট স্টারডি এ আবেদনে সাড়া দেন। তিনি আলেক্সিয়াকে তাঁর অতিথি হিসেবে পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে সম্মত হন। এভাবেই আলেক্সিয়ার স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হয়।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে দিয়ে আলেক্সিয়া বলে, ‘এটা সত্যি একটা চমৎকার ব্যাপার। কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমাকে আর দমাতে পারবে না।’ অরেঞ্জ অনলাইন।
তথ্যসূত্রঃ ১৭ এপ্রিল, ২০১১, প্রথম আলো।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-17/news/147129
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment