দু'জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হুইলচেয়ার প্রদান

ফান্ড পেলে আমরা কিছু প্রতিবন্ধী মানুষকে আত্ননির্ভশীল করে তুলতে চাই, সহজ করে তুলতে চাই তাদের চলার পথ। সেই লক্ষ্যেই শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১০ রোটারী ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের আর্থিক সহযোগিতায় বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে দুজনকে হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।  যাদেরকে হুইলচেয়ারগুলো দেয়া হলো তাদের একজন রাইসুল ইসলাম, বয়স ২২, বাবা আব্দুল আজিজ।  মগবাজার বস্তি নিবাসি রাইসুলের ছোটবেলা টাইফয়েড হয়েছিল তারপর থেকে তিনি একেবারেই হাঁটতে পারেন না। রাইসুল চার ভাইবোনের মাঝে সবার বড় হওয়ায় তার লেখাপড়া সেভাবে হয়নি। ছোটবেলা বাবা তাদেরকে ফেলে চলে যান। তারপর তাদের মাই দেখাশোনা করতেন। আর রাইসুলকেও বিভিন্নভাবে সংসারে সহযোগিতা করতে হতো। কিন্তু রাইসুলের মাও মারা গেছেন সাত/আট বছর আগে। পিতৃমাতৃহীন রাইসুল বর্তমানে বেকার, তবে সে...

"সাদা ছড়ি" ধারন করা,মনের দৃষ্টির মানুষদের সাথে কিছুটা সময়!

''সবচেয়ে দুর্ঘম যে মানুষ আপন অন্তরালে, তার কোন পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে। সে অন্তরময়, অন্তর মেশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।'' রবীন্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি এই ক’টি লাইন এর মতোই যেন অন্তরদৃষ্টি স্বম্পন্ন মানুষের সাহচর্য পাবার জন্যই যাওয়া সে “সাদাছড়ি” ধারন করা মানুষদের অনুষ্ঠানে ,আমার কাছে তা’ই মনে হয়েছে শেষে। বি-স্ক্যান এর সালমা আপার ফোন পেয়ে সানন্দে রাজী হয়ে গেলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। কিছুটা সময় আগেই পৌছলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি অডিটোরিয়াম এ। “সাদাছড়ি” দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের সংগঠন “ বিশেষ শিক্ষার্থী সংঘ” আয়োজিত সাদা ছড়ি বিতরন অনুষ্ঠান। অডিটোরিয়ামে ঢুকার মুহুর্তেই প্রথম অবাক করা বিষয় ,দৃষ্টি প্রতিবন্ধি আর স্বাভাবিক দৃষ্টিস্বম্পন্ন মানুষজন সবাই একসাথে কাজ করছে প্রোগ্রাম নিয়ে। আমার চারপাশটা জুড়ে সব হৃদয়ের...

ছোট ভাবনার বড় স্বপ্ন

বৃষ্টির ভাবনা ------------- জানালার পাশে বসে আকাশ দেখছে বৃষ্টি। তার জন্যে নির্ধারিত হুইলচেয়ারটায় বসে বড় বড় দুচোখ মেলে বিশাল আকাশের বুকে কি যেনো খুঁজে বেড়ায়। এতো দেখে তবু বুঝি সাধ মেটে না তার। দেখে আর শুধু ভাবে কোন এক অলৌকিক উপায়ে যদি হারিয়ে যেতে পারতো ঐ দূর দিগন্তে ! নীলিমার নীলে একাকার হয়ে মিশে যেতো, হারিয়ে যেতো ঐ বিশালতার মাঝে! কোলাহল মুখর ব্যস্ত এই পৃথিবীতে অর্থহীনভাবে বেঁচে থাকার কোন মানে খুঁজে পায় না বৃষ্টি। একঘেয়ে ক্লান্তিকর এই বসে থাকাই যেনো তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এই অসহনীয় জীবনের যন্ত্রণাময় মূহুর্তগুলো আড়াল করে রাখার জন্যেই সারাদিনমান শুধু বসে আকাশ-কুসুম কল্পনায় নিজেকে মাতিয়ে রাখা। সবাই সবার মতোন ব্যস্ত। বাবা রোজ সকালে রাগারাগি করে অফিস যাচ্ছেন। ভাইবোন গুলো স্কুলে যাচ্ছে। ঘরে ফেরার পরেও তাদের ব্যস্ততার সীমা নেই। কেউ গান শিখতে যাচ্ছে, কেউ কোচিং এ যাচ্ছে। এসে আবার ব্যস্ত...

কোহিনুরের কাংখিত সেই দোকান

  রাস্তার পাড়ে কোহিনুরের দোকানটি দেখা যাচ্ছে গত বছর সেপ্টেম্বরে কোহিনুর বেগমকে নিয়ে প্রথম আলোর ছুটির দিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, টাইফয়েডে পঙ্গু হয়ে যাওয়া এক অসহায় মা তাঁর দুটি সন্তানকে নিয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষা নয়, কাজ চাইছেন। প্রতিবেদনটি আমাদের নজর কাড়লেও আমরা ফান্ডের অভাবে সময়মত তাঁর জন্য কিছু করতে পারি নি। আবার যখন ফান্ড হাতে পেয়েছি তখন তাঁর সন্ধান পাই নি। এভাবে বেশ কিছুদিন চলে যাবার পর ২২ জুলাই, ২০১০ আমরা তাঁর হাতে দশ হাজার টাকা তুলে দিতে সক্ষম হই, গত মাসে সেটি নিয়ে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ।কেমন আছেন এখন কোহিনুর? তাঁর সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে আমাদের। তিনি বারবার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর দোকানটি দেখতে যেতে, আমাদের বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে নতুন সদস্য ব্লগার ভালবাসার দেয়াল গিয়েছিলেন দেখতে,...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub