শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'কাজলের দিনরাত্রি'

২০০৯-২০১০ সালের সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘কাজলের দিনরাত্রি’ এর মহরত উপলক্ষে ২০ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির ভিআইপি লাউঞ্জে বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘কাজলের দিনরাত্রি’র মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় পর চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন অভিনেতা আফজাল হোসেন। রোকেয়া প্রাচী, ইরেশ যাকের সহ বেশ কিছু শিশু কিশোরও চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করবেন বলেই জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে ড. জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হলো শিশুরা। অথচ তাদের জন্য বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। বিনোদন মাধ্যমে তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।’ শিশুতোষ ছবির ক্ষেত্রে সরকারী অনুদানের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র হচ্ছে এটা খুবই ভালো...

রহস্যময়ী এক নারী হেলেন কেলার

মানুষ বিধাতার সৃষ্টির সেরা জীব। তাই যুগে যুগে কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন যাদের দেখে খুবই বিস্মিত হতে হয়। চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী দেখেনি, কান দিয়ে শোনেনি কোনো বাক্য, পারেনি মুখ দিয়ে কথা বলতে। এই জগত্ তাদের কাছে অদৃশ্য, মানুষের কথা তাদের কাছে নিঃশব্দ, বাক্যহীন, নীরব, নিস্তব্ধ। পৃথিবীতে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা অতি নগণ্য। উনিশ শতকের দিকে এরকমের একজন নারী হচ্ছেন ‘হেলেন কেলার’। গত ১ জুলাই ছিল তার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ১৮৮০ সালের ২৭ জুন উত্তর আমেরিকার টুস্কুমরিয়া নামের ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আথার কেলার এবং মা’র নাম ক্যাথরিন। হেলেন কেলারের বয়স যখন মাত্র দেড় বছর তখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবা-মা প্রাণের প্রিয় কন্যার জীবনের আশা-ভরসা ছেড়ে দিলেও ভেঙে পড়েননি। চিকিত্সা শুরু করেন। তত্কালীন সময়ে আমেরিকা পৃথিবীর একটি উন্নত দেশ হলেও আজকের মতো চ্যালেঞ্জিং...

উন্নয়ন ব্যয়ের আধা শতাংশও পান না দেড় কোটি প্রতিবন্ধী

প্রতিবন্ধীরা সমাজে অচ্ছুৎ বলে চিহ্নিত হয়ে আসছেন। প্রতিবন্ধীদের দেখলে সবার মধ্যে একটু এড়িয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এসব অসহায় মানুষের যে সহানুভূতি পাওয়ার অধিকার রয়েছে সে খোঁজ কেউ রাখেন না। এসব মানুষকে পরিবার যেমন দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে, তেমনি রাষ্ট্রযন্ত্রও। দেশের দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বাজেটে বরাদ্দ চাহিদার আধা শতাংশও নয়। নৈতিক, মানবিক, ন্যায়বোধ ও সৌন্দর্যবোধ_ কোনো দিক থেকেই এ অবস্থা কাম্য হতে পারে না। রাষ্ট্র যদি প্রতিবন্ধীদের প্রতি তার দায়-দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে প্রতিবন্ধিতা বাড়বে। এর ফলে দারিদ্র্যও বাড়বে। অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত সম্প্রতি প্রতিবন্ধী ও দারিদ্র্য চক্র নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় তিনি এ চিত্রটি তুলে ধরেছেন। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে উন্নয়ন বাজেটের ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করার সুপারিশ করেছেন তিনি। ১৫ কোটি...

ঘোড়াঘাটের প্রতিবন্ধী দুই বোনকে হুইলচেয়ার প্রদান

গত ৬ এপ্রিল দৈনিক আমারদশে পত্রিকায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের প্রতিবন্ধী দুই বোন রিমা ও রিম্পার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বি-স্ক্যান (বাংলাদেশি সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ঢাকা রোটারী ক্লাব। গত বৃহস্পতিবার বিকালে মিরপুর রোডে মহানগর সার্জিকেল স্টোরে তাদের পিতা ওয়াজেদ আলীর হাতে হুইল চেয়ার তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বি-স্ক্যানের সহযোগী প্রশাসক সালমা মাহবুব, ঢাকা রোটারী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আবরার হোসাইন খান, রোটারীয়ান রাশেদুল আহসান, রোটারীয়ান আতাউর রহমান ও এম কাশেম প্রমুখ। সুত্রঃ রবিবার, ৯ মে ২০১০, আমারদেশ। http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/09/30...

Physically challenged, he knows no defeat

Belal Hossain, left physically challenged by polio during early childhood, has become a successful farmer through diligence and will power.Struggling against all odds, Belal, 35, son of late Mozahar Ali of Zamalganj-Pirpara village of Joypurhat Sadar upazila, is now known as an ideal farmer in the area."Belal, sixth of my seven children, was affected with polio when he was only one year old. He read up to class III at the local primary school but could not continue study after his father's death. He got about 20 decimal land from his father and started farming. He looks after everything of his land," said Belal's mother Rokeya Begum. Recently Belal built a brick-built house where he lives with his mother. He also purchased a colour television.Belal...

স্বপ্ন ছুঁতে ওদের পথচলা

ওদের স্বপ্নের জানালার পরিধি কতটুকুই বা বিস্তৃত? তবে আর দশটা শিশুর মতো ওদেরও স্বপ্ন আছে। ওরা তো স্বপ্ন দেখতেই পারে। কিন্তু ওদের স্বপ্নের জানালার ফুটো দিয়ে আর কতটুকু আলোই বা পৌঁছায়? কতটুকু আলো ওদের স্পর্শ করতে পারে? তবে ভালো লাগল এই ভেবে—যেটুকু আলো ওদের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেই আলোর সহযাত্রী হয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টায় শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে ছোট্ট দুটি শিশু অমিত আর তান্নি এগিয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের মো. লেবু মিয়ার ছেলে অমিত মিয়া। সে এবার পাত্রীকূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আর দশটা শিশুর মতো সে হাঁটতে পারে না। গ্রামে ধাত্রীর হাতে জন্মের সময় অমিতের ডান পা ভেঙে যায়। আর জোড়া লাগেনি। অমিতের মনে কষ্টের পাহাড়। সে সহপাঠীদের সঙ্গে একসঙ্গে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। দৌড়াতে পারে না। খেলতে পারে না। তার অন্য সব সহপাঠী, গ্রামের...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub