আমরা কি ওদের পাশে দাঁড়াতে পারি ?

সাভারে সিআরপি এর কাছে অনেক কষ্টে আল আমিনদের ছোট্ট স্যাঁতস্যাঁতে আধো অন্ধকার ঘরটিতে পৌঁছেছিলাম।বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে থাকা কিশোরটির মুখের হাসি দেখে কে বলবে গলার নীচ থেকে তারসারা শরীর অবশ। রুপালী বেগম ও আকমল হোসেনের প্রথম সন্তান, তাও আবার ছেলে। তাদের যা চাওয়ার ছিল সকলই যেন দিয়েছিলেন বিধাতা। কিন্তু ভাগ্যে সইলো না, ২০০৮ সালে মামারবাড়ী বেড়াতে গিয়ে তাল গাছে উঠেছিল আল আমিন, সেখান থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে আঘাত লাগে। বাঁচার আশা ছিল না বলতে গেলে কিন্তু সিআরপিতে দীর্ঘ ২ বৎসরের চিকিৎসায় প্রাথমিক আঘাতটি থেকে সেরে উঠেছে আল আমিন, কিন্তু শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে সারাজীবনের জন্য। তারপরও আল আমিন পড়তে চায়, সেই কারণেই দেখতে গিয়েছিলাম ওকে, কি করে বি-স্ক্যান থেকে সহায়তা দেয়া যায় যেভাবে আমরা আগেও দিয়েছি। এস এসসি পাশ রুপালী বেগম অন্যের বাসায় কাজ করেন এবং অবসর সময় সেলাই কাজ করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য যে আল আমিনের চিকিৎসায় খরচ হওয়া ৯ লক্ষ টাকার পুরোটাই সিআরপি বহন করেছে। সারা গায়ে ঘা হয়ে গিয়েছিল আল আমিনের, যে চিহ্ন এখনো আছে সারা শরীরে।




বিড়ম্বনারএখানেই শেষ নয় আল আমিনের বাবার চোখে এক সমস্যা দেখা দিয়েছে । ওঁদের ভাষ্য মতে দু
চোখের পাশে মাংস বেড়ে যাচ্ছে। চোখ দু'টো লাল হয়ে আছে। সূর্যের আলো সহ্য করতে পারেন না বলে প্রায়ই কাজে যেতে পারেন না। চোখ অপারেশেন করতে হবে,বারো হাজার টাকার প্রয়োজন। আল আমিন এর পড়াশোনার দায়িত্ব আপাতত তার মা ই নিতে পারবেন যদি আল আমিনের বাবা সংসারটির হাল ঠিক মত ধরতে পারেন। আর তা না হলে আল আমিন, তার উপর তার বাবার চোখের আলোও যদি নিভে যায় তখন কি করে রুপালী এই সংসার চালাবেন এবং একি সাথে দুইজন অসুস্থ মানুষের সেবা করবেন তা ভেবে দিশেহারা। আল আমিনের ৭/৮ বছরের আরো একটি ছোট ভাইও রয়েছে।

আমরা কি দাঁড়াতে পারি আল আমিনের পরিবারটির পাশে? 

- সালমা মাহবুব, ১৫ জানুয়ারী, ২০১১।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub