তাদের জানতে-বুঝতে আপনি যা করতে পারেন

অনাদরে, অবহেলায় মরে গেল আমার ভাই, জেমস। তার জন্ম ১৯৪৩ সালে। জেমসের একধরনের বংশগত অস্বাভাবিকতা ছিল, যাকে বলা হয় ডনস সিনড্রোম। গুরুতর শিখনপ্রতিবন্ধিতা ছিল। ১৯৯৯ সালে ব্রিটেনে মারা যাওয়ার আগে সে মারাত্মক নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে ফেলেছিল। তার সমস্যাটা খুঁজে পেতে চিকিৎসকেরা যথেষ্ট সময় ও কষ্ট স্বীকার করতে চাননি। ডায়রিয়া হয়েছিল। যে আবাসিক পরিচর্যাকেন্দ্রে সে থাকত, তা যথাযথভাবে যাচাই না করেই তারা শুধু ডায়রিয়ার চিকিৎসা করল। প্রতিবন্ধীদের দেখাশোনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও পরিচর্যাকারীদের সঙ্গে সে যোগাযোগ করতে পারেনি। তাই সে মরে গেল। তার জন্মদিন ৩ ডিসেম্বর। এ দিনটি আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যেসব মানুষের জীবন এক বা একাধিক প্রতিবন্ধিতার কারণে বেশির ভাগ মানুষের চেয়ে অনেক কঠিন, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, অনুভূতি বোঝার চেষ্টা আমরা কি কখনো করেছি? এই প্রশ্ন নিজেকেই করা দরকার। তাদের প্রতি আমাদের আচরণ কেমন...

আমরা কি ওদের পাশে দাঁড়াতে পারি ?

সাভারে সিআরপি এর কাছে অনেক কষ্টে আল আমিনদের ছোট্ট স্যাঁতস্যাঁতে আধো অন্ধকার ঘরটিতে পৌঁছেছিলাম।বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে থাকা কিশোরটির মুখের হাসি দেখে কে বলবে গলার নীচ থেকে তারসারা শরীর অবশ। রুপালী বেগম ও আকমল হোসেনের প্রথম সন্তান, তাও আবার ছেলে। তাদের যা চাওয়ার ছিল সকলই যেন দিয়েছিলেন বিধাতা। কিন্তু ভাগ্যে সইলো না, ২০০৮ সালে মামারবাড়ী বেড়াতে গিয়ে তাল গাছে উঠেছিল আল আমিন, সেখান থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে আঘাত লাগে। বাঁচার আশা ছিল না বলতে গেলে কিন্তু সিআরপিতে দীর্ঘ ২ বৎসরের চিকিৎসায় প্রাথমিক আঘাতটি থেকে সেরে উঠেছে আল আমিন, কিন্তু শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে সারাজীবনের জন্য। তারপরও আল আমিন পড়তে চায়, সেই কারণেই দেখতে গিয়েছিলাম ওকে, কি করে বি-স্ক্যান থেকে সহায়তা দেয়া যায় যেভাবে আমরা আগেও দিয়েছি। এস এসসি পাশ রুপালী বেগম অন্যের বাসায় কাজ করেন এবং অবসর...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub