আমাদের সাবরিনা, এক অপরাজিতা ফুল

হুইলচেয়ারে বসে ল্যাপটপ কম্পিউটারে খুটখাট করতে করতে জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে একটি মেয়ে। উন্মুক্ত আকাশ দেখার বাসনায় দিনমান জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকে মেয়েটি। কিন্তু মেয়েটির সেই উন্মুক্ত আকাশ দেখার ক্ষণটি আর আসে না কিছুতেই। এভাবেই তার দিন কাটে, রাত যায়। মাস আসে, বছর ঘুরে ঘুরে যুগও পেরিয়ে যায়। কিন্তু মেয়েটির আকাশ দেখার অপেক্ষার প্রহর আর ফুরোয় না। ফুরাবে কী করে! মাসকুলার ডিসট্রোফি নামক ভয়ানক এক রোগ যে বাসা বেঁধেছে মেয়েটির শরীরে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই ক্ষয়ে যাচ্ছে। এভাবেই দিন কাটছে চট্টগ্রামের মেয়ে সাবরিনা সুলতানার। শরীরে ভয়ানক রোগ নিয়েও থেমে নেই সাবরিনা সুলতানা। নিজের দিকে তাকিয়ে অপরের কষ্ট অনুভব করার চেষ্টা করেন তিনি। আর তাই তো নিরলসভাবে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। একসময় অন্য সবার...

আমরা আছি তোমাদের পাশে

আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মত তিনজন মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সাংবাদিক হানজালা শিহাবের ২৫ জুলাই ২০১০ এর একটি প্রতিবেদন থেকে আমরা ওদের কথা জানতে পারি। আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে গলাচিপা শহরের এই তিনজন শিক্ষার্থীর জন্য সাবরিনা সুলতানা সহযোগীতা চেয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, দেরীতে হলেও সেই আহ্ববানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন কানাডার টরোন্টোর বাংলাদেশী এসোসিয়েশেন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বি-স্ক্যান সদস্য। মা বাবার সাথে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শাহিন (বামে) ও বাপ্পি (ডানে) টরেন্টোর বাংলাদেশী এসোসিয়েশেনএর সদ্য প্রয়াত সভাপতি রীনা হক এর নামে তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীরা মিলে একটি স্কলারশিপ চালু করেছেন। সেই স্কলারশিপ হিসেবেই শাহিন ও বাপ্পি তাদের লেখাপড়ার খরচটি পাবেন।...

Financial Support for Studies of Three Children with Disability

“Every child with disability has the right to be educated sitting just next to a normal child in a regular school, not in a special one and after finishing education he/she should be considered as a candidate for an appropriate job for him/her”, said Md. Shah Alam, the headmaster of Golachipa Secondary school in a scholarship giving program arranged by the Bangladeshi Systems Change Advocacy Network (B-SCAN) in the Golachipa Secondary school premises on Thursday morning, 9 December, 2010. He also mentioned that, “ People with disabilities are capable enough to do well with success not only in education but also in every sector of life and they are not a burden to the society.” He mentioned about a student named Falguni...

Ramped low-floor buses for Uruguay’s capital

Montevideo moves to accessible buses.In a major step forward, the City of Montevideo has announced plans to progressively replace its current fleet of some 1,500 buses with new low-floor ramped units equipped with securement areas for wheelchair users and new cleaner engines to address air quality concerns. The new buses will be phased in progressively over a period of several years until all buses include the new features. The reports come from Eduardo Alvarez and Nicolás Li Calzi, Uruguayan architects who have actively promoted accessible transportation in the South American republic for many years. Soucre: Accessible Transportation Around the World,The Newsletter of Access Exchange International, June 2...

আলো অন্ধকারে যাই

দৌড়ে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর বাসটিকে ধরতে পেরে আমরা প্রফুল্লমনে বাড়ি ফিরি। কিন্তু জীবনে প্রতিটি পদক্ষেপে যিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতেই পারেন না, তাঁর বেলায়? হ্যাঁ, এমনই একজন স্বপ্নসারথির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হবে আজ, যাঁর পুরো জীবনটাই প্রতিবন্ধকতাময়। ১৯৯৩ সালের ৫ নভেম্বর গাজীপুর সদর থানার খুনদিয়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন ও হনুফা খাতুনের ঘরে জন্ম নেন এই দৃষ্টিহীন বন্ধু। নাম তাঁর আলী হুসাইন। পৃথিবীর আলো না দেখেও যিনি পৃথিবীর বুকে ইতিহাস রচনার স্বপ্ন দেখেন হৃদয়ে। যাঁর জন্ম স্বাভাবিক ছিল না বলে আত্মীয়স্বজন কেউই খুশি হতে পারেননি। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই আলী বড় হতে থাকেন এবং এখন তিনি অনেক বড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আলী হুসাইন নিজের যোগ্যতার বড় প্রমাণ দিতে পেরেছেন। আলী হুসাইন বাংলাদেশের ইতিহাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম এবং এখন পর্যন্ত...

মুছে যাক কিবরিয়ার চোখের পানি

কত কিছুই না ঘটে মানুষের জীবনে! জীবনের নানা ঘটনা গল্পের চেয়েও বিস্ময়কর হতে পারে। কোনো কোনো ঘটনা মনকে আনন্দে ভরে দেয়। কোনো কোনো ঘটনা পৌঁছে দেয় বিষণ্নতার ঠিকানায়। এই তো, গতকালই প্রথম আলোর ‘ঢাকায় থাকি’ ক্রোড়পত্রে গোলাম কিবরিয়ার কথা ছাপা হয়েছে। মানুষের জীবনসংগ্রামের নানা কাহিনি ছাপা হয় প্রথম আলোয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোলাম কিবরিয়াও উঠে এসেছিলেন পত্রিকার পাতায়। একজন খেটে খাওয়া মানুষের অসাধারণ জীবনকাহিনি তুলে আনাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। ঢাকার পাঠক সেই কাহিনি পড়েছেন। কিন্তু আজ যখন প্রায় একই কথা জানাতে চাইছি সারা দেশের পাঠককে, তখন আগেই বলে রাখি, এ ধরনের ঘটনার কথা লিখতে ইচ্ছে করে না। কষ্ট হয়। তার পরও লিখতে হয়। গোলাম কিবরিয়া এসেছিলেন নিজের কথা বলতে। শুধু বলেই ক্ষান্ত হলেন না, হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন রাস্তায়, চাক্ষুষ দেখালেন কী করে জীবন চলে তাঁর। খুব খারাপ কাটছিল না তাঁর জীবন। কিন্তু যে কারখানায় কাজ করতেন,...

Pages 341234 »
 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub