বি-স্ক্যান এর দু'বছরের পথ চলা

যে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আঁধার সুরঙ্গের মাঝ দিয়ে বি-স্ক্যান এর পথ চলা শুরু হয়েছিল, সেই পথের যাত্রী আজ আমরা একা নই, আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু সমমনা মানুষ যারা আমাদের সহযাত্রী হয়ে প্রেরণা যোগাচ্ছেন প্রতি নিয়ত। যদিও সুরঙ্গের শেষে কোন আলোর দিশা আজও আমরা পাই নি তবু আমরা আশাহত নই, আমাদের এই পথ চলা অব্যাহত থাকবে।


এই চলার পথে আমরা হারিয়েছি  আমাদের প্রাণ প্রিয় উপদেষ্টা জনাব মোঃ মাহবুবুল আশরাফ ভাইকে। আমরা তার বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করছি। এ বছর থেকে তাঁর নামে একটি এককালীন বৃত্তি (১০ হাজার টাকা) চালু করেছি আমরা যা প্রতি বছর একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে, এ বছর বৃত্তিটি পেয়েছেন সাভারের শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজ্জাদ হোসেন।


আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমাদের উপদেষ্টামন্ডলীকে যারা আমাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে আছেন। সেই সাথে সকল বি-স্ক্যান সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদেরকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যারা আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়ে বি-স্ক্যান এর কাজকে এগিয়ে নিয়েছেন। 



দু'বছরে বি-স্ক্যান এর উল্লেখ্যযোগ্য কিছু কার্যক্রম-

অনলাইন থেকে বেড়িয়ে খোলা মাঠে - ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছিল বি-স্ক্যান এর প্রথম মিলনমেলা। বি-স্ক্যান অনলাইন গ্রপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এতে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্রসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জড়ো হন।
প্রত্যেকের সম্মিলিত ইচ্ছেতে একমত পোষণ করে বি-স্ক্যান সদস্যরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ‘প্রতিবন্ধী মানুষের সর্বত্র প্রবেশগম্যতা এবং শিক্ষায় ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরা তথা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মৌলিক-মানবিক নাগরিক অধিকার আদায়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে স্কুল পর্যায়ে ছাত্র, শিক্ষক অভিভাবকদের সমন্বয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা সেমিনারের আয়োজন করার। এরই অংশ হিসেবে লিফলেট স্টিকার বিলি এবং গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানোরও সিদ্ধান্ত হয়

রোটারি ক্লাবের সাথে বি-স্ক্যানকে যুক্ত করা - ২৪ এপ্রিল,২০১০ ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত রোটারী ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের মিটিং কমোডর(অবঃ) আতাউর রহমান সাহেবের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেয়।বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে বি-স্ক্যান রোটারি ক্লাবকে নিজেদের কাজের সাথে যুক্ত করতে সমর্থ হয়। তারমধ্যে হুইলচেয়ারের পাশাপাশি র্যাটম্প তৈরীতে বা বিতরণে আহবান জানানো ছিল অন্যতম

সম্মাননা - দূরারোগ্যমাসকুলার ডিসট্রফিতে আক্রান্ত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিন সুলতানার পক্ষে স্কুলের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। শিক্ষাঙ্গনের মহানুভব অধ্যক্ষ তাসনিনের শিক্ষাজীবন মসৃণ রাখতে প্রথমে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর তার জন্য শ্রেণীকক্ষ দোতলা থেকে নিচতলায় টয়লেট সংলগ্ন একটি শ্রেণীকক্ষে নামিয়ে আনছেন। ২২ জুলাই ২০১০ একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্যচট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল কলেজকে সম্মননা প্রদান করা হয়

জাতীয় যাদুঘরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ - জাতীয় যাদুঘরের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগস্ট ২০১০ এবারই প্রথম প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বি-স্ক্যান এর কয়েকজন প্রতিবন্ধী সদস্য সেখানে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করেন।




যাদুঘরে তথ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক - সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার তৈরীর অংশ হিসেবে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায়গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে হুইলচেয়ার প্রবেশগম্যতানামে একটি প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়। যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ভবনসমূহে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি র‍্যাম্প একটি টয়লেট নিশ্চিত করতে চাই। প্রথম কাজ হিসেবে আমরা শাহবাগস্থ জাতীয় যাদুঘরকে বেছে নেই। যাদুঘরের মহা পরিচালক, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ, রোটারি ক্লাব এবং শেষ পর্যায় আগস্ট ২০১০ তথ্যমন্ত্রী জনাব আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সাথে আমাদের যাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব প্রকাশ চন্দ্র সাহার অফিসে বৈঠক করা হয়। বুয়েটের স্থাপত্যবিভাগ জাতীয় যাদুঘরের জন্য সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার ডিজাইনটি তৈরী করে দেন। যদিও পরে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ কাজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে করাচ্ছেন। বর্তমানে এইটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
সেমিনার

তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী মানুষের সম্পৃত্তকরণঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ - ২ নভেম্বর ২০১০ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ব্লগার্স ফোরাম এর সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী মানুষের সম্পৃত্তকরণঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে প্রতিবন্ধী মানুষের সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা আলোচনা করা হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি জনাব মোস্তফা জব্বার,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি-স্ক্যান এর প্রধান উপদেষ্ঠা ডা: শুভাগত চৌধুরী,পরিচালক লেবরেটারি সার্ভিসেস,বারডেম

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিতকরতে গণসচেতনতা - ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১১, এফআরইপিডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যাপারে সমাজে নেতিবাচক ভাবনা বদলে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যেপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণসচেতনতাশীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বি-স্ক্যান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। এছাড়াও জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার আইন কমিটির সদস্য জনাব মনসুর আহমেদ, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব জনাব বদিউল আলম, কবি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রবক্তা জনাব বেলাল মুহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

একীভূত শিক্ষার জন্য প্রচারণা 
যে জীবন এতদিন এদেশের প্রতিবন্ধী মানুষেরা কাটিয়ে এসেছেন আমরা জন সচেতনতার মাধ্যমে তার পরিবর্তন আনতে  চাই কারণ আমরা মনে করি সমাজের ব্যক্তির আচরণই আমাদের প্রথম প্রতিবন্ধকতা, যার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন। ২১ এপ্রিল, ২০১১ থেকে শুরু হয়েছে আমাদের প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় একীভূত করণের জন্য ক্যাম্পেইন। সরকারের মহাপরিকল্পনা ২০১৫ সালের মাঝে প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনার কথা মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা কাজ হাতে নিয়েছি। পর্যায়ে ঢাকার ইউনিভার্সাল টিউটোরিয়াল এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে।
 
টক শো
তৃতীয় মাত্রা - ৬ মার্চ, ২০১১ প্রথমবারের মত বি-স্ক্যান চ্যানেল আই এর জনপ্রিয় টকশো তৃতীয়মাত্রায় অংশগ্রহণ করে। মূলত সাবরিনা সুলতানার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিটি তৃতীয়মাত্রার পরিচালক জিল্লুর রহমান সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, পরে সাবরিনা ঢাকা এলে তিনি তাঁর অনুষ্ঠানে বি-স্ক্যানকে আমন্ত্রণ জানান।বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে সাবরিনা ছাড়াও সালমা মাহবুব এবং আরো যারা সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা হলেন এসোসিয়েশেন ফর দ্যা ওয়েলফেয়ার অব দ্যা পিপল উইথ ডিসেবেলিটিজ (এডব্লিউডিপি)এর প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরহুম মাহবুবুল আশরাফ এবং সেন্টার ফর দ্যা রিহেবিলিটেশেন অব দ্যা প্যারালাইজড (সিআরপি) এর প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক মিস ভ্যালেরী টেইলর।

মুন্নী সাহা - ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১১ আমাদের কার্যক্রমকে তুলে ধরার লক্ষ্যে মুন্নী সাহার আমন্ত্রণে এটিএননিউজ আওয়ার এক্সট্রাতে অংশগ্রহণ করা হয়

হুইলচেয়ার প্রদান
বেলাল রাইসুলঃ ২৩ অক্টোবর,২০১০ রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের আর্থিক সহযোগিতায় বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একজন সফল শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষক বেলাল হোসেন মগবাজার বস্তি এলাকাবাসী রাইসুল ইসলামকে দুটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।
সুমি জর্জিনাঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১০ রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় নিগার সুলতানা সুমি জর্জিনা বেগম নামে দুজন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীকে দুটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।
শফিকুল ইসলামঃ নীলফামারীর বাক, দৃষ্টি শারীরিক প্রতিবন্ধী শফিউল ইসলামকে রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের আর্থিক সহযোগিতায় একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে।

আর্থিক সহযোগিতা

কোহিনুর বেগমঃ প্রথম আলোর ছুটির দিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, টাইফয়েডে পঙ্গু হয়ে যাওয়া এক অসহায় মা তাঁর দুটি সন্তানকে নিয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষা নয়, কাজ চাইছেন। ২২ জুলাই, ২০১০ আমরা তাঁর হাতে দশ হাজার টাকা তুলে দিতে সক্ষম হই। কোহিনুর বেগমের এখন একটি নিজের দোকান হয়েছে।
সেলাই মেশিন প্রদানঃ ২১ নভেম্বর ২০১০ ডেমরার সাত বছর বয়সী একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মাতা খায়রুন্নেসা ১৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী হুসেন মিয়ার মাতা রুবিকে রোটারি সদস্যের দেয়া সেলাই মেশিন যাকাত হিসেবে প্রদান করা হয়।
চোখের অপারেশেনঃ আকমল হোসেন এর দুচোখে যথাক্রমে ২৭ জানুয়ারী,২০১১ ২৩ ফেব্রুয়ারী,২০১১ দুটি অপারেশেন করা হয়েছে। খুব ছোট্ট একটি অপারেশেনের দরকার ছিল কিন্তু টাকার অভাবে করতে পারছিলেন না। বি-স্ক্যান আমার ব্লগ ডটকম এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্লগারের সহযোগিতায় এই কাজটি সম্পন্ন করেছে। এখানে উল্লেখ্য আকমল হোসেনের ঘরে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে

লেখাপড়ার খরচফাল্গুনি, শাহিন বাপ্পীঃ বছর জানুয়ারী ২০১১ থেকে পটুয়াখালীর গলাচিপা শহর নিবাসী শারীরিক প্রতিবন্ধী ফাল্গুনি সাহা এবং বাক প্রতিবন্ধী শাহিন বাপ্পী দুই ভাইসহ মোট তিনজন শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ফাল্গুনি সাহা এবার এসএসসি তে জিপিএ পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেন কানাডার, টরেন্টো বাংলাদেশী এসোসিয়েশেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বি-স্ক্যান সদস্য।

মালেক শেখঃ ২৪ মার্চ, ২০১১ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বি-স্ক্যান সদস্যের সহায়তায় বইপত্র কেনার জন্য ছয় হাজার টাকা প্রদান করা হয় মুজিব নগর নিবাসী মেধাবী ছাত্র মালেক শেখ এর হাতে। শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে যিনি এগিয়ে চলেছেন।
 
সুদমুক্ত ঋণ
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে অনেকেই আছেন যাঁদের অবস্থা এতো খারাপ নয় যে তারা আর্থিক সহযোগিতা নেবেন, কিন্তু কিছু টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেলে তারা একটা কিছু ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সে কথা মাথায় রেখেই বি-স্ক্যান থেকে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যায়ে সাভারের মৃদু বাক প্রতিবন্ধী এম রিয়াদকে তার মাশরুম ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক বছরের ঋণ দেয়া হয়েছে

সচেতনতা তৈরীতে
আমার ব্লগ ডটকম এর সহযোগিতায়প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুনশীর্ষক ৭০০০ স্টিকার এবং প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষার সম অধিকার চাইশীর্ষক ৬০০০ হাজার লিফলেট বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণের উদ্দেশ্যে ছাপানো হয়েছে। ডাঃ মাকসুদ ওমরের আর্থিক সহায়তায় সার্বজনীন প্রবেশগম্যতা বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরীতেসর্বক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা চাইস্লোগান যুক্ত ১০০ টি-শার্ট তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কিছু ফেস্টুনও তৈরী করা হয়েছে

র‍্যাম্পে উপর তৈরী তথ্যচিত্র - বাংলাদেশে র‍্যাম্প শব্দটির সাথে মানুষ খুব একটা পরিচিত নয়। যেহেতু আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে সচেতন করা তাই সীমিত ক্ষমতায় র‍্যাম্প এর উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মান করেছি। যেটা অনলাইনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এই ধরণের তথ্যচিত্র আরো অনেক তৈরী হওয়া দরকার

সবশেষে ১৫ জুলাই ২০১১ বি-স্ক্যান এর ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং অরুণোদয় নামে একটি স্মারক বের করা হয়।
 
বি-স্ক্যান হোক প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম
সকল প্রতিবন্ধী মানুষের জয় হোক
 


নানা আয়োজনে বি-স্ক্যান এর ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত


১৫ জুলাই, ২০১১ শুক্রবার, বিকাল ৪:০০ টায় জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণ বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. আনোয়ার হোসেন  সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী  পরিচালক, লেবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম ও প্রধান উপদেষ্টা বি-স্ক্যান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং গতি মিডিয়া লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও ডা. আব্দুন নূর তুষার। আরো উপস্থিত ছিলেন বি-স্ক্যান আহ্বায়ক সাবরিনা সুলতানা ও  বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব।

অনুষ্ঠানে বি-স্ক্যান এর দুবছরের কার্যক্রমকে তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন করা হয়। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ নিষ্ঠুর নয়। সবাই বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য আন্তরিক।  কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই দেশ এখনো সকলের আশা পূরণ করতে পারে নাই। বিশ্বের অনেক অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল লক্ষত্রের মত জ্বল জ্বল করছেন। আমাদের সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন প্রতিবন্ধীরা সহজে শিক্ষা অর্জন করতে পারে তার জন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। প্রতিবন্ধীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত করে তোলা হলে দেশ গঠণে তাদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য হয়ে দাঁড়াবে।

বিশেষ অতিথি ডা. আব্দুন নূর তুষার তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আজ অবধি প্রতিবন্ধীবান্ধব হয়ে উঠে নি। বাংলাদেশের বাজেটেও প্রতিবন্ধী মানুষেরা অবহেলিত। তাই আমাদের উচিত প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার, দেশ গঠণে এগিয়ে আসা। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বি-স্ক্যান এর প্রধান উপদেষ্টা তার ধন্যবাদ বক্তব্যে বলেন, বি-স্ক্যান প্রতিবন্ধী মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে যেভাবে এগিয়ে এসেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আশা করি তা অচিরেই সুফল পাবে। তিনি বি-স্ক্যান এর কার্যক্রমের সাথে সকলের সম্পৃক্ততা আশা করেন।

 

 

বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী বেশ কিছু স্কুলে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুটি গ্রুপে বিভক্ত এই প্রতিযোগিতায় মোট ছয়জন বিজয়ীকে পুরুস্কার প্রদান করা হয়। এ পর্যায়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার প্রাপ্ত তিনটি স্কুলকেও সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়। এছাড়াও সারা ইন্টান্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজকে একীভূত শিক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত রাখার জন্য সম্মাননা সনদ দেয়া হয়।





নিবেদিত সংগঠক, এসোসিয়েশেন ফর দ্যা ওয়েলফেয়ার অব দ্যা ডিজেবেল্ড পিপল (এডব্লিউডিপি) এর কর্ণধার, প্রাক্তত্ন সহ সভাপতি জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ও বি-স্ক্যান উপদেষ্টা মরহুম মোঃ মাহবুবুল আশরাফ সাহেবের নামে বি-স্ক্যান থেকে এ বছর একটি এককালীন বৃত্তি চালু করা হয় যা প্রতিবছর একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে । এ পর্যায়ে এবার শারীরিক প্রতিবন্ধী সাভারের সাজ্জাদ হোসেনকে বৃত্তি দেয়া হয়। সে এবার এসএসসি পাশ করেছে। উচ্চতর শিক্ষা লাভের সহায়তা হিসেবে সাজ্জাদের হাতে বৃত্তিস্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী ।
 
 

শারীরিক প্রতিবন্ধী আফিয়া আক্তার লাকী, বি-স্ক্যান এর স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় নিজের ব্যবসা শুরু করার লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা হিসেবে তার হাতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ডা. আব্দুন নূর তুষার। এরপর বিশেষ অতিথিদের বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে উপহার প্রদান করা হয়।



প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সাজানো ছিল নানা আয়োজনে । ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশেন এর পরিবেশনায় মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'আঁখি এবং আমরা কজন'  অবলম্বনে নাট্যাংশে একীভূত শিক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়।

চমক হাসানের মনোমুগ্ধকর পুঁথিপাঠ সবার মন কেড়ে নেয়।  তিনি বি-স্ক্যান এর চারটি লক্ষ্যসহ প্রতিবন্ধী মানুষের সার্বিক  পরিস্থিতি এবং তাদের প্রতি যে বিরূপ ধারণা পোষণ করা হয় তা চমৎকারভাবে তার পুঁথিতে তুলে আনেন।


 


 দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলাম ও আবুল হোসেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গোলাম মঈনুদ্দিন রাব্বী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জর্জিনা বেগম সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
 

সবশেষে চুয়েটের ডিবেটিং সোসাইটির পরিবেশনায় ছিল অন্যরকম আয়োজন মাইম বা মুখাভিনয়। এখানে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি যে ব্যংগ বিদ্রুপ করা হয় এবং সে কারণে যে তারা নিজেদের গুটিয়ে রাখে চারদেয়ালের ভিতর তা সুন্দরভাবে তুলে আনা হয়। 


অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রুদ্র অক্ষর।

Second Founding Anniversary of B-SCAN

Dear Friends,

Friday, July15, 2011, 4pm on the 2nd Anniversary of Bangladeshi Systems Change Advocacy Network (B-SCAN) has organized a short discussion on disability and a colorful cultural program by Disabled and non Disabled persons at the Sufia Kamal auditorium of National museum, Shahbag Dhaka.










Attractions are:

Prize giving ceremony of the Essay Competition organized by B-SCAN in different schools through out the country to raise awareness among children about People with Disabilities.

Cultural Program:


Puthipath by Chamak Hasan.

A Drama Sequence by VISCOM (Visual Communication) base on the book 'Ankhi o Amra kajon' of Dr. Md. Zafar Iqbal.

Songs by persons with visual impairment and physical disabilities.

Mime (mukhavinoy) by CUET Debating Society.

Reciting of Poem by Rudro Okhhor.


You are cordially invited to enjoy the show.

Contact:
Rajeen Reasat - 01912357127,
Samiul Alam Richie - 01674690429.

Thank you.
Salma Mahbub

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-স্ক্যানের সেমিনার


বাঁ দিক থেকে অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম,অধ্যাপক জায়েদা শারমিন স্বাতী, উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব।

মাস দুয়েক আগে সকলের সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম বিভিন্ন স্কুল, কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ততার উদ্দ্যেশ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে চায় বি-স্ক্যান। তখনই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের ছাত্র খুরশিদুল আলম হিটু ভাই আগ্রহ প্রকাশ করলেন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারের আয়োজন করে দেওয়ার। তার মধ্যে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ২৩শে জুন’১১ তারিখে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সমাজ কর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. তুলসী কুমার দাস। শাবি’র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “কিন” এর উদ্দ্যেগ্যে আয়োজিত এই সেমিনারে শাবি’র ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দ্যেশ্যে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্ববান জানিয়ে, বাংলাদেশের অবহেলিত প্রতিবন্ধী মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বি-স্ক্যানের পেছনের ইতিহাস নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও আছে শিক্ষার সম অধিকার” এই স্লোগানে বি-স্ক্যান এর মূল প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন বি-স্ক্যান সদস্য  রুদ্র-অক্ষর। 

একীভূত শিক্ষার উপর প্রেজেন্টেশেন করছেন রুদ্র-অক্ষর।

মূল প্রেজেন্টশনটিতে বিভিন্ন স্লাইড শোতে নানান প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে সফল প্রতিবন্ধী মানুষের কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও কি কি কারণে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সহায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা ও সর্বক্ষেত্রে প্রবেশের সুবিধা বঞ্চিত হতে হয় এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ সনদ সহ বাংলাদেশের আইন কি বলছে তা উল্ল্যেখ করা হয়। 
বিশিষ্ট অতিথিদের সাথে বি-স্ক্যান সভাপতি সাবরিনা সুলতানা (সর্বডানে)।
এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যা যা ভূমিকা রাখতে পারে, তা হলো- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেখার জন্যে আলাদা সেল গঠন করা সহ নাটক, বিতর্ক ইত্যাদি নানান সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া যাতে করে ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায় সরকার গঠিত আইন সম্পর্কে জানতে পারে এবং তা মেনে চলতে উৎসাহিত হয়। এছাড়াও সেমিনারের মূল আকর্ষণ ছিলো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। 

প্রশ্ন উত্তর পর্ব
অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, প্রতিবন্ধিতা কোন ভিন্নতা নয় এটি আমাদের জীবনের অংশ। প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তিরই এগিয়ে আসা উচিৎ সমাজের সর্বস্তরের প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দিচ্ছেন কিন সভাপতি তানজিদ হাসান ও শিক্ষকবৃন্দ।

উপাচার্য ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেন, ২০১০ সাল থেকে শাবি’তে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে কোটা রাখা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তিও হয়েছে। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে চাকুরী দিয়েছেন যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং ভবিষ্যতেও দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন।

সেমিনারের আয়োজক কিন সদস্যদের সাথে বি-স্ক্যান।

অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, নৃ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের  অধ্যাপক রুহুল আমিন সজিব, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন স্বাতী, কিন সভাপতি তানজীদ হাসান প্রমুখ। 

লেখকঃ সাবরিনা সুলতানা

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প

একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বি-স্ক্যান এর পক্ষ থেকে এবারই প্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হলো। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে অনেকেই আছেন যাঁদের অবস্থা এতো খারাপ নয় যে তারা আর্থিক সহযোগিতা নেবেন, কিন্তু কিছু টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেলে তারা একটা শুরু কিছু করতে পারেন। সাভারের মৃদু বাক প্রতিবন্ধী এ এম রিয়াদ তাঁদেরই একজন যিনি মাশরুমের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং তার মাশরুম চাষের প্রতি রয়েছে অদম্য আগ্রহ। এমনিতে সে সাভারের সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহেবিলিটেশেন ফর দ্যা প্যারালাইজড) ও তার আশেপাশের এলাকায় মাশরুম সরবরাহ করে থাকেন। পাইকারী দামে মাশরুম কিনে কিছু লাভে বিক্রি করেন। মাশরুম চাষের ট্রেনিংও নিয়েছেন এবং এডব্লিউডিপি (এসোসিয়েশেন অর দ্যা ওয়েলফেয়ার ফর দ্যা ডিজেবেল্ড পিপল) থেকে একটি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য মূলধনের অভাব হলে তিনি বি-স্ক্যান এর কাছে আবেদন জানালে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়। 





গত ৮ জুন, ২০১১, মাশরুম চাষ জোরদার প্রকল্পের পরিচালক জনাব, সালেহ মুহাম্মদ এর অফিসে বিশ হাজার টাকার একটি চেক রিয়াদের হাতে তুলে দেয়া হয়। আগামী বছর জুনের মাঝে সকল টাকা তিনি মাসিক ১৬৬৬.৬৬ টাকা হারে পরিশোধ করে দেবেন বলে বি-স্ক্যান এর সাথে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়। মাশরুম প্রকল্পের অফিস,  সিআরপি ও আশেপাশের এলাকায় রিয়াদের বেশ সুনাম রয়েছে । আমরা তার সাফল্য কামনা করছি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন বি-স্ক্যান সদস্য আমাদের ঋণটি দিতে সহযোগিতা করেছেন।

 
Design by Oronno Anam | Bloggerized by Salma Mahbub