বদলে যাচ্ছে সবকিছু, প্রযুক্তির বিকাশে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। দিনে দিনে হয়ে উঠছি আধুনিক। তারপরেও সত্যি কী সব কিছু বদলে যাচ্ছে?
আমরা যদি বাংলাদেশের একজন প্রতিবন্ধীর দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করি, তাহলে দেখবো, আসলে তাদের জগতের তেমন কিছুই বদলাচ্ছে না। আজও প্রতিবন্ধী মানুষেরা ঘরে-বাইরে সবকিছু থেকে বঞ্চিত। আজও তারা সমাজে সম্মানের সাথে গ্রহণযোগ্য নয়।
উন্নত বিশ্বে প্রতিবন্ধীরা যখন একজন অপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোগ করছে সমান সুযোগ-সুবিধা, তখন কঠিন বাস্তবতা এই যে, আমরা এদেশে লড়াই করছি, প্রতিবন্ধীদের অস্তিত্তকে প্রমান করতে। সর্বত্রই তারা বৈষম্যের শিকার। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র -- কারোরই যেন সময় নেই তাদের কথা ভাবার।
অন্তর্জালের কল্যাণে ফেসবুক এখন একটি জনপ্রিয় নাম। বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, পারস্পরিক ভাব বিনিময়, তথ্য-মতামত আদান-প্রদান, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমের প্রচার, এমন কি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য ক্রমেই বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের ১৮০ টি দেশের ৩৫ কোটিরও বেশী মানুষ নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন। আর প্রতিদিনই বাড়ছে এর সদস্য সংখ্যা।
ফেসবুক এখন মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার একটি সহজ মাধ্যম। সব ধরণের, সব বয়সের মানুষ কম্পিউটারে তো বটেই, মোবাইল ফোনের বোতাম টিপে খুব সহজেই যে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন।
জননন্দিত তারকারাও এখন ফেসবুককে ব্যবহার করছেন সরাসরি দর্শক মতামত জরিপের মাধ্যম হিসাবে। এখানে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, অভিনেতা, শিল্পী, বড় বড় এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাও আছেন। অনেক রকম মত প্রকাশের পাশাপাশি এখানে গড়ে তোলা যায় নিজস্ব মতবাদের গোষ্ঠি বা গ্রুপ।
ঘরের বসেই সারা বিশ্বে যোগাযোগের এমন অভিনব জনপ্রিয় পন্থা আগে দেখা মেলেনি। আর বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে ঘরের বাইরে যাদের যাবার উপায় নেই, তাদের জন্য এ যেন এক স্বপ্নলোকের চাবি। চার দেয়ালের মাঝে বসেই পরিচয় করা সম্ভব শত শত মানুষের সাথে, দেশে ও বিদেশে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমন অনেক নতুন নতুন বন্ধু গড়ে তোলেন, সারাজীবনেও হয়তো যাদের সাথে কথা বলার সুযোগই হতো না।
আসুন, আমরা বাংলাদেশের এমনই একটি ব্যাতিক্রমী ফেসবুক-গ্রুপের কথা শুনি, যারা প্রতিবন্ধীদের মৌলিক মানবিক অধিকার আদায়ে জনসচতনতা গড়ে তোলার একটি প্রাথমিক পন্থা হিসাবে অন্তর্জালকে বেছে নিয়েছে।
প্রতিবন্ধীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন ফেসবুকে বি-স্ক্যান (Bangladeshi Systems Change Advocacy Network, B-SCAN) নামে একটি গ্রুপ খোলার মাধ্যমে সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। এরই মধ্যে গ্রুপটি অনেকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই এই গ্রুপটি খোলার পর এর সদস্য সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারে।
প্রতিবন্ধীদের মর্যাদাবান মানুষ হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে তাদের মাঝে আত্নবিশ্বাস গড়ে তোলার একটি সূচনা পর্ব গ্রুপটি করে চলেছে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সমমনারা সহজেই একত্রিত হতে পারেন, সংগঠনের নানা প্রায়গিক কর্মসূচিতেও যোগ দিতে পারেন।
বি-স্ক্যান'র মুল স্লোগান 'সর্বত্র প্রবেশের সুবিধা চাই'। এর শ্লোগানটির ব্যাপকতা হচ্ছে, সংস্থাটি চায় -- প্রতিবন্ধীদের যেনো শিক্ষা, চাকরি, যাতায়াত, বাসস্থান, বিনোদন ইত্যাদি সর্ব ক্ষেত্রে সহজগম্যতা তথা অধিকার অর্জিত হয়। আর এ জন্য বাংলাদেশে যেনো গড়ে ওঠে একটি মানবিক সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে একজন প্রতিবন্ধী যেনো নিজেকে সাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
বি-স্ক্যান এ-ও মনে করে, শুধু ফেসবুক বা অন্তর্জালে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেই ওই রকম সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। কারণ দেশের অধিকাংশ মানুষই তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা বঞ্চিত। এর পরেও দেশের সচেতন শিক্ষিত সমাজের একটা অংশ এখানেই আছেন। তাদের চেতনাটিকেও জাগ্রত করা প্রয়োজন; তাই অন্তর্জালের উদ্যোগটিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। সংস্থাটির প্রথম পদক্ষেপ -- প্রতিবন্ধীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করা।
বি-স্ক্যান আহ্বান জানায়, আসুন, আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত প্রতিবন্ধীদের পাশে এসে দাঁড়াই। তাদের প্রতি বাড়িয়ে দেই সহমর্মিতার হাত।
আমরা যদি বাংলাদেশের একজন প্রতিবন্ধীর দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করি, তাহলে দেখবো, আসলে তাদের জগতের তেমন কিছুই বদলাচ্ছে না। আজও প্রতিবন্ধী মানুষেরা ঘরে-বাইরে সবকিছু থেকে বঞ্চিত। আজও তারা সমাজে সম্মানের সাথে গ্রহণযোগ্য নয়।
উন্নত বিশ্বে প্রতিবন্ধীরা যখন একজন অপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোগ করছে সমান সুযোগ-সুবিধা, তখন কঠিন বাস্তবতা এই যে, আমরা এদেশে লড়াই করছি, প্রতিবন্ধীদের অস্তিত্তকে প্রমান করতে। সর্বত্রই তারা বৈষম্যের শিকার। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র -- কারোরই যেন সময় নেই তাদের কথা ভাবার।
অন্তর্জালের কল্যাণে ফেসবুক এখন একটি জনপ্রিয় নাম। বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, পারস্পরিক ভাব বিনিময়, তথ্য-মতামত আদান-প্রদান, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমের প্রচার, এমন কি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য ক্রমেই বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের ১৮০ টি দেশের ৩৫ কোটিরও বেশী মানুষ নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন। আর প্রতিদিনই বাড়ছে এর সদস্য সংখ্যা।
ফেসবুক এখন মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার একটি সহজ মাধ্যম। সব ধরণের, সব বয়সের মানুষ কম্পিউটারে তো বটেই, মোবাইল ফোনের বোতাম টিপে খুব সহজেই যে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন।
জননন্দিত তারকারাও এখন ফেসবুককে ব্যবহার করছেন সরাসরি দর্শক মতামত জরিপের মাধ্যম হিসাবে। এখানে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, অভিনেতা, শিল্পী, বড় বড় এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাও আছেন। অনেক রকম মত প্রকাশের পাশাপাশি এখানে গড়ে তোলা যায় নিজস্ব মতবাদের গোষ্ঠি বা গ্রুপ।
ঘরের বসেই সারা বিশ্বে যোগাযোগের এমন অভিনব জনপ্রিয় পন্থা আগে দেখা মেলেনি। আর বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে ঘরের বাইরে যাদের যাবার উপায় নেই, তাদের জন্য এ যেন এক স্বপ্নলোকের চাবি। চার দেয়ালের মাঝে বসেই পরিচয় করা সম্ভব শত শত মানুষের সাথে, দেশে ও বিদেশে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমন অনেক নতুন নতুন বন্ধু গড়ে তোলেন, সারাজীবনেও হয়তো যাদের সাথে কথা বলার সুযোগই হতো না।
আসুন, আমরা বাংলাদেশের এমনই একটি ব্যাতিক্রমী ফেসবুক-গ্রুপের কথা শুনি, যারা প্রতিবন্ধীদের মৌলিক মানবিক অধিকার আদায়ে জনসচতনতা গড়ে তোলার একটি প্রাথমিক পন্থা হিসাবে অন্তর্জালকে বেছে নিয়েছে।
প্রতিবন্ধীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন ফেসবুকে বি-স্ক্যান (Bangladeshi Systems Change Advocacy Network, B-SCAN) নামে একটি গ্রুপ খোলার মাধ্যমে সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। এরই মধ্যে গ্রুপটি অনেকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই এই গ্রুপটি খোলার পর এর সদস্য সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারে।
প্রতিবন্ধীদের মর্যাদাবান মানুষ হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে তাদের মাঝে আত্নবিশ্বাস গড়ে তোলার একটি সূচনা পর্ব গ্রুপটি করে চলেছে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সমমনারা সহজেই একত্রিত হতে পারেন, সংগঠনের নানা প্রায়গিক কর্মসূচিতেও যোগ দিতে পারেন।
বি-স্ক্যান'র মুল স্লোগান 'সর্বত্র প্রবেশের সুবিধা চাই'। এর শ্লোগানটির ব্যাপকতা হচ্ছে, সংস্থাটি চায় -- প্রতিবন্ধীদের যেনো শিক্ষা, চাকরি, যাতায়াত, বাসস্থান, বিনোদন ইত্যাদি সর্ব ক্ষেত্রে সহজগম্যতা তথা অধিকার অর্জিত হয়। আর এ জন্য বাংলাদেশে যেনো গড়ে ওঠে একটি মানবিক সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে একজন প্রতিবন্ধী যেনো নিজেকে সাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
বি-স্ক্যান এ-ও মনে করে, শুধু ফেসবুক বা অন্তর্জালে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেই ওই রকম সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। কারণ দেশের অধিকাংশ মানুষই তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা বঞ্চিত। এর পরেও দেশের সচেতন শিক্ষিত সমাজের একটা অংশ এখানেই আছেন। তাদের চেতনাটিকেও জাগ্রত করা প্রয়োজন; তাই অন্তর্জালের উদ্যোগটিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। সংস্থাটির প্রথম পদক্ষেপ -- প্রতিবন্ধীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করা।
বি-স্ক্যান আহ্বান জানায়, আসুন, আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত প্রতিবন্ধীদের পাশে এসে দাঁড়াই। তাদের প্রতি বাড়িয়ে দেই সহমর্মিতার হাত।